জগতের অস্তিত্ব . >(t মস্তিষ্কের ভিতরে আন্দোলন আপনা হইতেই সময়ে সময়ে ঘটে ; রূপুনুভূতি জন্মে, কিন্তু মস্তিষ্কের মহিরে কোন রূপবান নাই। এইরূপে ভূতের গল্পের স্বষ্টি হয়। সাপ দেখিতেছি বলিলেই নিশ্চয় একটা সাপ বাহিরে আছে, তাহা সকল সময়ে বলা যায় না । স্বপ্নে আমরা এইরূপ যথাগত সঙ্কেত ও অনুভূতি লইয়া প্রকাও একটা ক্রীড়াময় জগৎ নিৰ্ম্মাণ করি। স্মৃতি নামক মানসিক ব্যাপারের শরীর-বিজ্ঞান-সম্মত ব্যাখ্য' এইরূপ। অজ্ঞানে বা সজ্ঞানে জ্ঞানবিভ্ৰাট, যত ইলিউশন বা হালুসিনেশন আছে, সকলেরই এই ব্যাখ্যা । হিপূনটিক রোগীকে যাহা দেখিতে বলা যায়, বিনা ওজরে সে তাহাই দেখে । বিশ্বামিত্ৰ ঋষি বহু আয়াসে নুতন জগৎ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । বিশ্বামিত্র আফিমের মহাত্ম্য জানিতেন না, তাই তাহার এত তপস্তা ; কিঞ্চিৎ মফিয়া সাহায্যে তিনি বিনায়াসে বুহন্তর জগৎ নিৰ্ম্মাণ করিতে পারিতেন । রূপানুভূতি সম্বন্ধে যাহা, অন্তান্ত অনুভূতির সম্বন্ধেও তাঁহাই । সৰ্ব্বত্রই সঙ্কেত লইয়া কারবার । অনুভূতিগুলা আমাদের, সেগুলা সত্য পদার্থ ; তাহাদের অস্তিত্বে সংশয় করিবার উপায় নাই, পূৰ্ব্বেই স্বীকার করিয়াছি। কিন্তু তাহদের কারণস্বরূপে অনুমিত বুদ্ধিস্বল্প বাহ জগৎ আমাদের শকল্পিত, অর্থাং রচিত । সেই কল্পনায় ভর করিয়া চলিলে জীবনযাত্রা বেশ চলে দেখা যায়, কিন্তু সময়ে সময়ে ঠকিতে হয় । কেন চলে সে স্বতন্ত্র কথা। এইরূপ যায়াজগৎ কল্পনা করিয়া তন্মধ্যে মানবচৈতন্তকে যথেচ্ছবিহারী দেখিয়া প্রকৃতির কি উদ্দেশু সাধিত হয়, সে কথা না তোলাই ভাল। স্থূল কথা এষ্ট, রাহ জগৎ যদি থাকে, তাহকে আমি, অর্থাৎ আমার চৈতন্য, স্পর্শ করিতে অক্ষম । স্পর্শ করিতে যখন অক্ষম, তখন জোর করিয়া বলিতে পারি না, যে বাহ জগৎ আছে । বাহা জগতের স্বাধীন অস্তিত্ব কল্পনা করিয়া তাহার অস্তগত আমার মস্তিষ্ক নামক বস্তুর কল্পন। করি, এবং কল্পিত বাহ্যজগতের কল্পিত আঘাতে কল্পিত মস্তিষ্কে
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।