পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতীত্যসমুৎপাদ ২৩১ ২ । সংস্কার—এই পারিভাষিক শব্দটির অর্থগ্রহ দুঃসাধ্য । পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা নানা জনে নানা অর্থ করিয়াছেন। বৌদ্ধ দর্শনে সংস্কার শব্দের আর এক স্থানে প্রয়োগ আছে। বৌদ্ধ দর্শনোক্ত পাচটি স্বন্ধের মধ্যে তৃতীয় স্কন্ধের নামও সংস্কার । এই পাচ স্কন্ধের বিষয় পরে বলা যাইবে । নিদান মধ্যে গৃহীত সংস্কার ও স্কন্ধমধ্যে গৃহীত সংস্কার উভয়ের মধ্যে কোনও প্রভেদ আছে, বোধ হয় না । সেই সংস্কার কি, তাছা বুঝাইবার জন্ত গোট কতক উদাহরণ লওয়া যাক্ । সংস্কারসমূহের মধ্যে পোদ্ধাচার্যাণ:ণর মতে বায়ান্নরূপ প্রকারভেদ বৰ্ত্তমান । বায়ান্নটা নামের উল্লেখে সম্প্রতি দরকার নাই । কতকগুলির নাম উল্লেখ করিলেই, সংস্কার কি, তাহা কতক বুঝা যাইবে । একটা সংস্কারের নাম স্পর্শ—বাহ বস্তুর সহিত ইন্দ্রিয়ের যোগ ; আর একটার নাম বেদনা,—ম্পর্শ ফলে উৎপন্ন অনুভূতি বা sensation ; আর একটা চেতনা—perception এর কাছাকাছি । এতদ্ভিন্ন অদ্যান্ত সংস্কার যথা,-স্মৃতি, বিতর্ক, বিচার, প্রীতি, মোচ, লজ্জা,করুণ, ঈর্ষা ইত্যাদি। ফলে মানসিক ব্যাপার মাত্রষ্ট,—মনুষ্যের যে কিছু চিংবৃত্তি বৰ্ত্তমান,— £offsco office sensations, cognitions, volitions, emotions এ সমস্তই, সংস্কার। মনে কর সহসা আমার সম্মুখে একটা সাপ উপস্থিত। এস্থলে কি কি মানসিক ব্যাপার ঘটে ? একটা দীর্ঘ চাকচিক্যশালী বক্রগতিশীল পদার্থের সহিত দর্শনেন্দ্রিয়ের স্পর্শসহকারে তাহার রূপের বেদনা বা প্রতীতি, এবং উদ্যত সবেগাক্ষিপ্ত ফণা হইতে তীব্র ছো শব্দ–শ্রবণেন্দ্রিয়ের স্পর্শ সহকারে এই শব্দের বেদনা, সঙ্গে সঙ্গে পূৰ্ব্বস্তুতির উদ্রেকে সর্পবুদ্ধি, সঙ্গে সঙ্গে কৰ্ত্তব্যবিচার বা বিতর্ক—তার পর পলায়ন-চেষ্টার প্রণোদক শঙ্কা অর্থাৎ একটা মোহ, এবং পরক্ষণেই সবেগে পলায়নে প্রবৃত্তি । এখন এই স্পর্শ হইতে পলায়নে প্রবৃত্তি পৰ্য্যস্ত যত কিছু মানসিক