প্রতীত্যসমুৎপাদ చెలిసి ভবচক্র বা সংসারচক্রের প্রতিকৃতি একখানি চাকা ; চাকার কেন্দ্রস্থলে অর্থাৎ নাভিদেশে কপোত, সর্প ও শূকরের মূৰ্ত্তি রাগ, দ্বেষ ও মোহের প্রতিকৃতি স্বরূপ অঙ্কিত আছে । এই তিনকে কেন্দ্রে রাখিয়া সংসারচক্র ঘুরিতেছে। চক্রের নেমির বা পরিধির গায়ে বারটি ঘরে দ্বাদশ নিদানের দ্বাদশটি মূৰ্ত্তি মনুষ্যজীবনের ইতিহাস দেখাইতেছে। প্রথম ঘরে এক ব্যক্তি অন্ধ উঠুকে চালিত করিতেছে । অন্ধ উটু অবিদ্যান্ধ মনুষ্যের প্রতিমূৰ্ত্তি । চালক স্বয়ং কৰ্ম্ম । ইহ জন্মের আরম্ভে মনুষ্য পুৰ্ব্ব জন্মের কৰ্ম্ম কর্তৃক চালিত হইয়া অন্ধ উষ্ট্রের মত অবিদ্যার ঘোরে ঘুরিয়া বেড়ায় ও নুতন জন্মের প্রতি ধাবিত হয় । দ্বিতীয় ঘরে কুম্ভকাররূপী কৰ্ম্ম সংস্কাররূপ মশলায় বা কৰ্দমে মনুষ্যের অন্তঃশরীররূপ ঘটের নিৰ্ম্মাণ করিতেছে । তৃতীয় ঘরে বানর-মুৰ্ত্তি মানুষের বিজ্ঞানের অপুর্ণতার ও অপকর্ষের পরিচয় দিতেছে। চতুর্থ ঘরে বৈদ্য রোগীর নাড়ী টিপিতেছে, অর্থাৎ স্পন্দনশীল মনুষ্যত্ব বা ‘নামরূপ বাহা জগতের সহিত স্পর্শ লাভের জন্ত যেন ব্যাকুল হইয়াছে। পঞ্চম ঘরে মুখোসের ভিতর হইতে দুইটা চোখ উকি মারিতেছে, অর্থাৎ ষড়ায়তন’ রূপ ইন্দ্ৰিয়সমষ্টির ভিতর হইতে মনুষ্যত্ব বাহ-জগতের প্রতি চাহিতেছে । এই অবস্থায় মানব শিশুর সহিত বাহা জগতের কারবার রীতিমত আরম্ভ হইল । ছয়ের ঘরে আলিঙ্গ নবদ্ধ দম্পতি মকুষ্যের সহিত জগতের, অন্তর্জগতের সহিত বহির্জগতের সংযোগ বা স্পর্শ স্বচনা করিতেছে । এই স্পর্শের ফলে বেদনা বা দুঃখাদি অনুভূতির আরম্ভ ; সাত চিত্রে বাহির হইতে নিক্ষিপ্ত বাণ চক্ষুর মধ্যে প্রবেশ করিয়া এই তুংখানুভবের পরিচয় দিতেছে । আটের ঘরে স্বরাপানরত মনুষ্যমূৰ্ত্তি তৃষ্ণ বা বাসনার প্রতিকৃতি । মনুষ্য এখন সংসারে মজিয়াছে, সংসারের বৃক্ষ হইতে আগ্রহের সহিত ও আসক্তির সহিত ফল সংগ্ৰহ করিতে .প্রবৃত্ত হইয়াছে ; সেইজন্ত নয় ঘরে বৃক্ষের ফলাকৰ্ষা মনুষ্য উপাদানের বা
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।