প্রতীত্যসমূৎপাদ । ミ8> আমার বিবেচনায় প্রতীত্যসমুৎপাদ ব্যাপারটা অভব্যক্তি বুঝাইতেছে বটে, কিন্তু সেই অভিব্যক্তি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রণালীর । উহা মনুষ্যের শারীরিক বা মানসিক পরিণামের বিবরণ নহে বা সাংসারিক মানুষের, দশ দশার বিবরণও নহে। মনুষ্যদেহ বা মহুষ্যের অস্তঃশরীর কিরূপে গঠিত, বদ্ধিত ও পরিণত হয় বা মনুষ্য সংসারে আসিয়া কিরূপ ধারাবাহিক দশাবিপৰ্য্যয় লাভ করে, তাহা বুঝান প্রতীত্যসমুৎপাদের উদ্দেগু নহে। কেবল বৌদ্ধদৰ্শন কেন, আমাদের সাংখ্যদর্শনের ও বেদান্তদর্শনের স্বষ্টিপ্রণালীর সহিত পাশ্চাত্য বিজ্ঞানশাস্ত্রের স্বষ্টি প্রণালী মিলাইতে যা ওয়াই ভ্ৰম । অনেক পণ্ডিতে সাংখ্য দর্শনের অভিব্যক্তিবাদকে পাশ্চাত্য বিজ্ঞানের এবোলুশন থিওরির সহিত মিলাইবার চেষ্টা করেন ৷ জাগতিক ব্যাপারমাত্রেই অভিব্যক্তির নিরূপণ আজকাল বিজ্ঞান শাস্ত্রের প্রধান কাৰ্য্য হইয়। দাড়াইয়াছে । সৌর জগতের অভিব্যক্তি বুঝান আধুনিক জ্যোতিৰ্ব্বিদের প্রধান কাৰ্য্য হইয়াছে । পৃথিবীর গঠনে অভিব্যক্তি বুঝাইতে ভূবিদ্যা ব্যস্ত । জীবকুলে অভিব্যক্তির প্রণালী আবিষ্কার করিয়া ডারুইন কীৰ্ত্তি উপার্জন করিয়াছেন । অন্তঃকরণের অভিব্যক্তি বুঝাইবার জন্ত মনোবিজ্ঞান শাস্ত্র ব্যাকুল । মনুষ্যসমাজের অভিব্যক্তি বুঝাইতে বড় বড় ঐতিহাসিক ও সমাজতাত্ত্বিক নিযুক্ত এই সকল অভিব্যক্তির বৈজ্ঞানিক অভিব্যক্তি বা ব্যাবহারিক অভিব্যক্তি নাম দিতে পারা যায় । কিন্তু এতদ্ব্যতীত অার এক রকমের অভিব্যক্তি আছে, তাহাকে দার্শনিক বা পারমার্থিক অভিব্যক্তি বলা যাইতে পারে । সাংখ্য দর্শনে ও বেদাস্ত দর্শনে যে অভিবাক্তির বিবরণ অাছে, তাহা এই দার্শনিক অভিব্যক্তি । আমার বোধ হয় বৌদ্ধ দর্শনের প্রতীত্যসমুৎপাদও সেই দার্শনিক অভিব্যক্তি মাত্র । সাংখ্য, বেদান্ত ও বৌদ্ধ দর্শনে বিবিধ মতভেদ বর্তমান থাকিলেও একট। - বিষয়ে মিল আছে । তাহা এই অভিব্যক্তি ব্যাপার লইয়া । তাহার। >粤 SAASAASAASAASAASAASAASAACSMMMMAMMMAMMMAMAMMMMMM SMSMM
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।