মুক্তি ২৫৩ প্রাচীনকালে আর্য্যসমাজে কতকগুলি সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানউৎসবাদি সম্পাদিত হইত ; উহাদিগকে যাগযজ্ঞ বলিত ও উহাদের সাধারণ নাম ছিল ধৰ্ম্ম ৷ তদেশে তৎকালে উহাদের উপযোগিতার বিচার বর্তমান সময়ে কঠিন । একালে আমরা ধৰ্ম্মশব্দ ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করি ও গম্ভীরভাবে বক্তৃতা করি ও কাব্য লিখি—“ষজ্ঞে ধৰ্ম্ম নন্তে, ধৰ্ম্ম লোকহিতে " আর যাহার এইরূপ বক্তৃতা করেন, তাহাদের আস্ফালনই বা কত । শব্দের অপপ্রয়োগের এইরূপ আর ও উদাহরণ আছে । আমাদের দর্শনশাস্ত্রে মুক্তিশব্দটি নির্দিষ্ট পারিভাষিক অর্থে ব্যবহৃত হয় । খ্ৰীষ্টানদের স্বীকৃত salvation নামক একটা ব্যাপার আছে ; আজকাল অনেকে উহার পর্যায় রূপে মুক্তিশব ব্যবহার করিয়া নানাবিধ উৎকট যুক্তির অবতারণা করেন । - মুক্তিশব্দের অর্থ বৰ্ত্তমান প্রবন্ধের আলোচ্য। কিন্তু এইখানেষ্ট বলিয়া রাখা উচিত, মুক্তি অর্থে আর যাহাই হউক, উহা খ্ৰীষ্টানি salvation Roo ! খ্ৰীষ্টনি salvation শব্দের অর্গ কি ? খ্ৰীষ্টানিমতে মনুষ্যমাত্রই জন্মাবধি পাপী । মনুষ্য আপনার পাপের ফল ভোগ করিতে বাধ্য। মনুষ্যের স্বষ্টিকর্তা ও বিচারক খোদা স্থা পাপের দণ্ড দিতে বাধা ; নতুবা তাহার ছায়পরতা থাকে না। কিন্তু তিনি আবার করুণাময়। কাজেই তিনি করুণাবশে খ্ৰীষ্টরূপে অল দেণ’ হইলেন ও মনুষ্যের পাপের বোঝা নিজের উপর তুলিয়া লইলেন ও মনুষ্যজাতির প্রতিভূস্বরূপে আপনার শোণিতপাত দ্বারা মকুষ্যের পাপের প্রায়শ্চিন্ত
- ইংরাজি God বলিতে যাহা বুঝায়, আমাদের ঈশ্বরশব্দে সৰ্ব্বত্র তাহা বুঝার না । এইজন্তু God এর গুর্জমায় অগত্য খোদা-শব্দ ব্যবহার কয়! গেল ।