ミQb" জিজ্ঞাসা অনুভূয়মান, যাহা কিছু প্রতীত হয়, তাহা ভ্রাস্তি—তাহার মূল অজ্ঞান বা জ্ঞানের অভাব । স্পৰ্শ-বেদন, জন্ম-মৃত্যু, ইহকাল-পরকাল, সুখ-দুঃখ, যাহা কিছু প্রত্যয়ের বিষয়, তাহ কেবল সম্যক্ জ্ঞানের অভাবে উৎপন্ন । উহার ভিতরে কিছুই নাই । সমস্তই শূন্ত ও মরীচিকা । সংসার অস্তিত্ব হীন। এইটুকু বুঝিলেই ভ্রাস্তি কাটিয়া যাইবে। তখন বুঝিবে জন্মমৃত্যু সবই মিথ্য, ইহকাল-পরকাল কিছুই নাই, সুখদুঃখও অস্তিত্বহীন । এইটুকু বুঝিলেই নিৰ্ব্বাণ ঘটে বা মুক্তি ঘটে । এইটুকু বুঝিলেই দুঃখ থাকে না ; এইটুকু বুঝিলেই জন্মাত্তরপরিগ্রহ করিতে হয় না । কেন না, কুঃখ অস্তিত্বহীন পদার্থ, জন্মাস্তর পরিগ্রহও ভ্রান্ত বিশ্বাসমাত্র । এই ভ্রান্ত বিশ্বাসটাই অবিদ্যা, এই ভ্রাস্তির অপনোদনই নিৰ্ব্বাণ । ইহার ফল দুঃখনাশ । - কাজেই ঐ জ্ঞানোদয় ভিন্ন নিৰ্ব্বাণলাভের উপায়ান্তর নাই । কিন্তু সেই জ্ঞানোদয় অতি কঠিন ব্যাপার । ইচ্ছা করিলেই বা চেষ্টা করিলেই সেই জ্ঞানের উদয় ঘটে না । বিশ্বজগৎটা জ্ঞানস্বরূপ পদার্থ, ইহা মনে করিলেই করা যায় না । অন্ততঃ অনেক বড় বড় লোকে যখন এ সম্বন্ধে প্রতিবাদ করিতে উপস্থিত হন, তখন সাধারণ মানুষের ত কথাই নাই । তবে সাধারণ মানুষে করিবে কি ? তাহারা যথাসাধ্য এই জ্ঞানলাভের জন্য চেষ্টা করিতে পারে ; এই জ্ঞানল' র জন্য যে সাধন আবিস্তক, তাহ দ্বারা এই জ্ঞানের জষ্ঠ প্রস্তুত হইতে পারে । বুদ্ধপ্রদর্শিত আষ্টাঙ্গিক মার্গ অবলম্বন করিয়া সম্যক দৃষ্টি সম্যক সংকল্লাদি দ্বারা আত্মোন্নতি বিধানের পর শেষ পর্য্যস্ত সম্যকৃ সমাধিবলে ঐ জ্ঞান লাভের জন্ত প্রস্তুত হইতে পারে। মুক্তি আয়াসলভ্য ; উহা জ্ঞানীর প্রাপ্য । অষ্টিাঙ্গিক মার্গ অবলম্বন করিতে জাতিবর্ণনিৰ্ব্বিশেষে সকলেরই অধিকার আছে, এবং ঐ পন্থা ভিন্ন অন্ত-পন্থায় চলিলে ফললাভের সম্ভাবনা ও নাই । কিন্তু অধিকার থাকিলেই ফলপ্রাপ্তি ঘটে না।
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।