পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তি ૨C:જ ভগবান বুদ্ধগৌতম এইরূপে মুক্তির পথ প্রদর্শন করিয়াছিলেন। র্তাহাকে এই হেতু মুক্তির পথপ্রদর্শক বলা যাইতে পারে। কিন্তু তিনি আপনাকে মুক্তিদাতা বলিয়া প্রচার করেন নাই। বিশুদ্ধ বৌদ্ধ মতে কোন মনুষ্য বা কোন দেবতা অনুগ্রহপূর্বক কাহাকেও মুক্তি দিতে পারেন না ; সেইজন্য বিশুদ্ধ বৌদ্ধমতে মুক্তিদাতা কেহ থাকিতে পারে না । বিনা অবিদ্যানাশে মুক্তিলাভের সম্ভাবনা নাই। কাজেই মুক্তি প্রত্যেক ব্যক্তির সাধনাসাপেক্ষ ও চেষ্টাসাপেক্ষ। তবে বুদ্ধপ্রদর্শিত ত্রিশরণ মার্গ আশ্রয় করিলে সেই সাধনার পথ পাওয়া হইতে পারে মাত্র । কিংবা এতটুকু বলা যাইতে পারে, যে বুদ্ধপ্রদর্শিত মার্গ আশ্রয় না করিলে মুক্তির পথ জানিবার উপায় থাকে না, অতএব মুক্তিলাভের উপায় থাকে না । বুদ্ধদেবই জগৎকে মুক্তির পন্থা দেখাইয়াছেন । যাহারা অন্ত পন্থা দেখাইয়াছেন, তাহার। বৌদ্ধগণের মতে ভ্রান্ত । বৌদ্ধগণ ভগবানকে ভবব্যাধির চিকিৎসক, বৈদ্যরাজ, জ্ঞানসিন্ধু, দয়াসিন্ধু ইত্যাদি বিশেষণে বিশিষ্ট করিয়াছিলেন । এই করুণানিধান মহাপুরুষের উপাসনা বৌদ্ধ সমাজে প্রবৰ্ত্তিত হইয়াছিল। কিন্তু তাহার কৃপামাত্রে যে মুক্তিলাভ হইতে পারে, ইহা বিশুদ্ধ বৌদ্ধমতের স্বীকার্য্য নহে । বুদ্ধদেব জাতিবর্ণনিৰ্ব্বিশেষে সকলের সম্মুখে আপনার মত প্রচার করিয়াছিলেন । তিনি সৰ্ব্বসাধারণের জন্য মুক্তির পস্থা নির্দেশ করিয়াছিলেন মাত্র, কিন্তু মুক্তিকে আনায়াসলভ্য বলেন নাই। কিন্তু সৰ্ব্বসাধারণ অচিরে তাহাকে মুক্তিদাতার স্বরূপে গ্রহণ করিল । যিনি মুক্তির একমাত্র পথ প্রদর্শন করিয়াছেন, তিনিই যে মুক্তিদাতা সৰ্ব্বসাধারণে এই সিদ্ধাস্ত করিয়া লইল । করুণাময়ত্ব ও মুক্তিদাতৃত্ব উভয়ের আধারস্বরূপ হইয়া ভগবান বৌদ্ধসমাজে অচিরে পূজিত হইতে লাগিলেন। উত্তরকালে মহাযানী বেীদ্ধের বিবিধ কাল্পনিক