জগতের অস্তিত্ব పిసి কিছু, ইহা আমি অকপটে কায়মনোবাক্যে স্বীকার করি । নতুবা, প্রতিপদে আমাকে লাঞ্ছিত হইতে হয় । নহিলে জীবনযাত্রা এক পদ অগ্রসর হয় না ; উত্তম পুরুষের কল্যাণসাধন ঘটে না ; এবং উত্তম পুরুষের কল্যাণসাধনই আমার পরম পুরুষাৰ্থ । প্রমাণের অভাব ; যুক্তি নাই ; কিন্তু প্রকৃতিপ্রযুক্ত লগুড়ের ভয় আছে। সুতরাং আমি আছি, তুমিও আছ । তুমি বিনা কি ভাই আমার চলে ? তুমি আছ, সুতরাং রাম, হরি, কৃষ্ণ সকলেই আছেন। কেন না, সময়বিশেষে সকলেই মধ্যমপুরুষস্থানীয় হইয়া দাড়ান। আবার তোমাদের দুরস্থ জ্ঞাতি ওরাং, হনুমান, জাম্ববান পৰ্য্যস্ত সকলেই আছেন । কেননা, শাখাবলম্বী হনুমান হইতে কাফ্রি মহাশয় যতদূরে, কাফ্রি মহাশয় হইতে তোমার দূরত্ব তার চেয়ে কম, সকল সময়ে একথা বলিতে সাহস হয় না । বলিলে তুমি রাগ করিবে । একবার পদস্খলন হইলে আর নিস্তার নাই ; ক্রমেই অধোধঃ নামিতে হয় । মীন মকর হইতে আরম্ভ করিয়া আসিডিয়ান, আফিঅক্সস ও শেষে দুৰ্বস্ত প্রোট প্লাজম পৰ্য্যন্ত সকলেই তোমার জ্ঞাতি কুটুম্ব ; সুতরাং সকলেই তোমার মত মধ্যম পুরুম স্থলীয় হইবার অধিকারী, সুতরাং সকলেই সন্তি । তোমাকে চেতন স্বীকার করিলে সকলকেই চেতন মানিতে হইবে। জীবশ্রেণীর পরম্পরায় পরস্পরের এমন সম্বন্ধ, কাহাকে ছাড়িয়া কাহার চৈতন্ত স্বীকার করিব ? তোমার যদি চৈতন্ত্য থাকে, তবে নিকট জ্ঞাতি হনুমানের আছে, দুর জ্ঞাত মৎস্তকুম্ভীরের আছে, দুরতর কৃমিকীটের ও দূরতম কাঁটাপুর ও আছে, প্রোটোপ্লাজমেরও আছে । চৈতন্তের সীমান নির্দেশ অসম্ভব । এই সীমার উদ্ধে সমুদয় জীব চৈতন্ত্যবিশিষ্ট, ইহার নীচে চৈতন্ত নাই, কে সাহস করিয়া বলিবে ? অবশু তোমার চৈতন্তে ও'কাটাণুর চৈতন্তে পার্থক্য আছে ; কিন্তু সে প্রকৃতিগত নহে, মৌলিক নহে, কেবল অভিব্যক্তির মাত্রাগত। যেমন কীটাণুর
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।