পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তি 이(: আমি দেখিতে পাই। এই নিয়ম, এই ব্যবস্থা, এই কাৰ্য্যকারণগৃঙ্খল কোথা হইতে আসিল, ইহা বুঝান একটা সমস্ত । হিউম এবং বৌদ্ধ আত্মার অস্তিত্ব স্বীকার করেন না । তাহদের মতে আত্মা নাই ; কেবল ক্ষণস্থায়ী বিজ্ঞানের পরম্পরামাত্র আছে । উহাদের মধ্যে একটা পৌৰ্ব্বাপৰ্য্য সম্বন্ধ আমরা দেখিতে পাই। একটা প্রত্যয়ের পর আর একটা প্রত্যয় আসিয়া থাকে , অন্নভোজনরূপ প্রত্যয়ের পর ক্ষুধানিবৃত্তি নামক প্রত্যয় উপস্থিত হয় এইমাত্র –কিন্তু উপস্থিত হইতেই হইবে, এমন কোন বাধ্যবাধকতা নাই । কেননা উভয় প্রত্যয়ই ক্ষণস্থায়ী । একের সহিত অষ্ঠের ঐ পৌৰ্ব্বাপৰ্য্য সম্বন্ধ ব্যতীত অন্ত কোনরূপ সম্বন্ধ নাই । ঐ রূপ ঘটিয়া থাকে ; ঐরূপ যে ঘটতেই হইবে, এরূপ কোন কারণ নাই । কেন অন্তরূপ না ঘটিয়া ঐন্ধপই ঘটে, এ প্রশ্ন নিরর্থক—কেননা ঐরূপ না ঘটিয়া অঙ্গ রূপ ঘটিলেও ঠিক সেই প্রশ্নই উঠিত। আতাফল ভূমিতে কেন পড়ে, অগ্নিস্পর্শে কেন যন্ত্রণ হয়, এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি না ; আতাফল যদি উৰ্দ্ধগামী হঠত, অগ্নিস্পশে যদি আরাম হুইত, তাহা হইলেও কেন তেমন হয়, এই প্রশ্ন উঠিত ; তাহার ও উত্তর দিতে পারিতাম না । যখন একরূপ না একরূপ ঘটিতেই হইবে, তখন যাহা ঘটতেছে, তাহাই মানিয়া লও। কেন এরূপ হইল, কেন ওরূপ হইল না, এ তর্ক তুলিয়া লাভ নাই । ক্ষণিক বিজ্ঞানবাদী বৌদ্ধ বলেন, উহা অবিদ্যা । হিউম বলেন, ও সকল প্রশ্নের উত্তর নাই ; উহ! cইয়াণি । বার্কাল জগতের এই নিয়ম, এই ব্যবস্থা, এই কার্য্যকারণ সম্বন্ধ বুঝাইবার জন্য এক বৃহৎ চেতন পদার্থের অস্তিত্ব স্বীকার করিয়াছেন, **sco Universal Soul 4. Active Reason off”; “robi as: দেওয়া হয় । বার্কাল খ্ৰীষ্টান ছিলেন ; তিনি বলেন, এই বৃহৎ চৈতন্তুময় পদার্থই খ্ৰীষ্টানদিগের ঈশ্বর বা খোদা—এবং ইনিই প্রতীয়মান