+. মুক্তি २b~> হইলেই বুঝিব, অগিল প্রপঞ্চের স্রষ্টা বিধাতা নিয়ন্ত আমিই সৰ্ব্বজ্ঞ, সৰ্ব্বশক্তিমান, অদ্বিতীয় ব্ৰহ্ম । অন্ত ব্ৰহ্ম নাই। কে বলিল আমি সুখদুঃখভোগী পরিমিতশক্তি জীবমুত্রি ? এই প্রপঞ্চ যখন আমারই কল্পনা, উহা যখন আমারই প্রত্যয়, এই স্থলদেহ, এই জন্মজরামরণ, এই সুখদুঃখ, এ সমস্ত ও তখন আমারই কল্পনা বস্তুতঃ আমি এ সকল হইতে মুক্ত ; নিত্যশুদ্ধবিমুক্তৈকমখণ্ডানন্দমদ্বয়ম্, সত্যং জ্ঞানমনস্তং যৎ পরং ব্ৰহ্মাহমেৰ তৎ । এইটুকু না জানিয়া আপনাকে সঙ্কীর্ণ ও পরিমিত মনে করাষ্ট অবিদ্যা । এইটুকু জানারই নাম অবিদ্যার ধ্বংস—তাঙ্গর পারিভাষিক নাম মুক্তি । 飘 প্রতিপক্ষ বলিবেন, ইহা অদ্বয়বাদীর নিতাস্তই গায়ের জোর । জীবের সঙ্কীর্ণত মানিব না বলিলেই কি চলিবে ? এক মুষ্টি অন্ন যাহার জীবত্বের ভিত্তি, তাহার মুখে এমন কথা বাতুলের প্রলাপ | কাজেষ্ট প্রতিপক্ষকে নিরস্ত করিতে হইলে অদ্বয়বাদীর ঐ উক্তির তাৎপৰ্য্য আর একটু স্পষ্টভাবে বুঝিবার চেষ্টা করিতে হইবে । পাশ্চাত্য দর্শনে যাবতীয় পদার্থকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় ; একের নাম Subject বা বিষয়ী ; অপরের নাম Object বা বিষয় । যে উপলব্ধি করে, সে বিষয়ী ; যাহা উপলব্ধ হয়, তাহা বিষয় । এই বিষয়ী আমি—অহং-পদবাচ্য ; আর এই বিষয় তুমি—ত্বংপদবাচ। তুমি শব্দে কেবল আমার সম্মুখবর্তী তোমাকে মাত্র বুঝায় না । তুমি বলিতে, তিনি, সে, রামগুাম হরি, বাঘ ভালুক, কীটপতঙ্গ, গাছপালা, চন্দ্ৰন্থৰ্য্য, লোঃ ইষ্টক সবই বুঝায়। কেন না এ সকলই কোন না কোন সময়ে তোমার স্থলবর্তী হইয়া আমার উপলব্ধির বিষয় বা আমার প্রত্যক্ষ হইয়াছে বা হইতে পারে । কাজেই এ সকলই বিষয়শ্রেণিভুক্ত । এমনকি আমার ইন্দ্রিয়, আমার মন, আমার বুদ্ধি, এ সকলও অামি কোন না কোন প্রমাণ দ্বারা উপলব্ধি করিয়া থাকি ।
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৯০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।