জিজ্ঞাসা مون سراج বস্তু, যাহা আত্মার বা পুরুষের সন্নিধানে আসিয়া আত্মার স্বষ্টিক্ষমতাবলে পরিদৃশুমান প্রতীয়মান জগতে পরিণত হয় । বেদাস্তু সেই স্বতন্ত্র অনিৰ্ব্বাচ্য জ্ঞেয় প্রকৃতির স্বাধীন সত্তা স্বীকার করেন না । কাজেই যিনি বৈদাস্তিক, তিনি বটব্যাল মহাশয়ের ভাষা একটু ঘুরাইয়া বলিবেন, “যে প্রক্রিয়া দ্বারা আত্মা আপনার জ্ঞানরাশিকে আপনা হইতে বাহিরে নিক্ষেপ করে, আপনা হইতে বহিস্কৃত করিয়া জ্ঞেয় পদার্থে পরিণত করে, তদ্বারা ব্যক্ত জগতের নিৰ্ম্মাণ করে—অর্থাৎ আত্ম হইতে যেকপে স্থল ও হুঙ্ক ভূতসমষ্টি বিষয়ের আবির্ভাব হয়—তাহার নাম দার্শনিক স্বষ্টি।” বেদাক্ত মতে জ্ঞেয় স্বাক্ত প্রতীয়মান জগতের স্বরূপ কি, তাহা বলা হইল । উহা আত্মারই স্বঃ, আত্মারই কল্পিত ; উহার ব্যাবহারিক অস্তিত্ব আছে, কিন্তু পারমার্গিক অস্তিত্ব নাই । এ বিষয়ে প্রাচ্য দর্শন ও প্রতীচ্য দর্শন এক মত । তৎপরে কথা, আত্মার স্বরূপ কি ? পূর্বেই বলিয়াছি, ক্ষণিক-বিজ্ঞানবাদী প্রাচ্য দার্শনিক ও হিউম ও হক্সলির দ্যায় প্রতীচ্য দার্শনিক এই আত্মারও অস্তিত্ব মানেন না । বেদাস্ত উগর অস্তিত্ব মানেন ; ভুলই হউক আর ঠিকৃষ্ট হউক, মানেন ; এবং বলেন এই আত্মা স্বতঃসিদ্ধ পদার্থ : ইহার অস্তিত্ব প্রতিপাদনের জন্ত কোন প্রমাণের প্রয়োজন নাই । এখন এই আত্মার স্বরূপ কি, তাহা বুঝাইতে গেলে বড় গেলে পড়িতে হয় । বেদন্তিমতে আত্মাই যখন বিশ্বজগতের স্বষ্টিকৰ্ত্তা এবং সেই বিশ্বজগৎ যখন তৎপ্রতিষ্ঠিত নিয়মানুসারেই অজ্ঞাত ভবিষ্যৎ উদ্দেশুকে লক্ষ্য করিয়া চলিতেছে, তখন আত্মাকেই সৰ্ব্বজ্ঞ সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বর বলিতে হয় । বেদাস্ত তাহাই বলিয়াছেন । বেদান্ত আত্মাকেই পুনঃ পুনঃ ঐ সকল বিশেষণে বিশিষ্ট করিয়াছেন । আত্মা সৰ্ব্বজ্ঞ—নতুবা অনাগত ভবিষ্যৎকে লক্ষ্য করিয়া জগদ্যন্ত্র চালান সম্ভবপর হইত না ; আত্মা সৰ্ব্বশক্তিমান, নতুবা পরিদৃগুমান জগতে যাহা কিছু বিদ্যমান,
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।