মুক্তি ২৮৭ সে সকলেরই তৎকর্তৃক স্বষ্টি সম্ভবপর হঠত না । এইরূপে আত্মায় সৰ্ব্বজ্ঞতা ও সৰ্ব্বশক্তিমন্ত আরোপ করিয়া বেদান্ত আত্মাকে অর্থাং আমাকে ঈশ্বর এই নাম দিয়াছেন । এখন বলা বাহুল্য, এই বেদান্তের ঈশ্বর খ্ৰীষ্টানসমাজের বা ব্রাহ্মসমাজের স্বীকৃত ঈশ্বর নহেন । নৈয়ায়িকাদি ঐশ্বরকারণিক দার্শনিকের জীব হষ্টতে স্বতন্ত্র যে জগৎকারণ ঈশ্বর স্বীকার করেন, এ ঈশ্বর সে ঈশ্বর ও নগেন । বৈষ্ণবদিগের ভাষা সকল সময়ে বুঝা যায় না । বৈষ্ণুপ দার্শনিকেরা ও অনেকে স্বতন্ত্র ঈশ্বর কল্পনা করিয়া তাহার সহিত জীবের ভিন্নত্ব ও সেব্যসেব কসম্বন্ধ কল্পনা করিয়াছেন ; কেহ কহ আবার এরূপ ভাষায় কথা কহিয়াছেন, যে তাঙ্গার বেদান্ত স্বীকৃত আত্মাকেই ঈশ্বর বলিয় গ্রহণ করেন নাই, তাহ বল। দুষ্কর ৷ বৈষ্ণপগণের চতুবুহিতত্ত্বের সহিত বৈদাস্তিক অদ্বয়তত্ত্বের সমন্বয়-চেষ্টা দেখিয়াছি। তপে বৈষ্ণবসমাজের নেতৃগণের নিকট এই সমন্বয়-চেষ্ট। অনুমোদিত হইবে কি না, জানি না । অন্তের পক্ষে যাহাই হউক, অদ্বয়মতে আমিই সৰ্ব্বজ্ঞ সৰ্ব্বশক্তিমান জগতের স্রষ্টা বিধাতা ও সংহৰ্ত্ত । পরিদৃশ্যমান চরাচরের “জন্মাদ" আম হইতেই । এই রূপে বেদন্তি আত্মায় জগৎকারণত্ব অর্পণ করিয়া উহাকে ঈশ্বরপদবাচ। করেন ও সৰ্ব্বজ্ঞতা সৰ্ব্বশক্তিমত্ত। প্রভৃতি উপাধি তাহাতে অৰ্পণ করেন । আবার অদ্য দিকে তিনিত আত্মাকে সৰ্ব্বগুণবিবর্জিত নিরু পাধিক শুদ্ধ চৈতন্ত স্বরূপ বলিয়া বর্ণনা করেন । এষ্ট একটা মহা সমস্ত | আত্মাকে নিরুপাধিক বলার তাৎপর্য্য আগে বুঝা যাউক । আমি আছি, এ বিষয়ে আমার সন্দেহমাত্র নাই । ইহা অামার পক্ষে স্বতঃসিদ্ধ । অথচ সেই আমি কিংস্বরূপ, আমি কেমন, ইহা বুঝাইবার ও বলিবার ভাষা পাওয়া যায় না। কেন না যাগ কিছু জ্ঞানগম্য, তাহাই ভাষা দ্বারা প্রকাশযোগ্য ও বর্ণনীয় ; কিন্তু যাহা জ্ঞানগমা,
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।