পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জিজ্ঞাসা ’’سراسراج তাহা বিষয়শ্রেণিভুক্ত, তাহা বিষয়ী নহে। কাজেই আত্মার অর্থাৎ বিষয়ীর যদি কোন জ্ঞানগম্য ধৰ্ম্ম থাকে, তাহা হইলে আত্মা বিষয়ী না হইয়া বিষয়ের অন্তর্গত হইয় পড়ে । কাজেই কোন জ্ঞানগম্য ধৰ্ম্ম, কোন ভাষায় বর্ণনীয় গুণ, আত্মায় আরোপ করা চলে না । কাজেই আত্মাকে ইহা নহে, ইহা নহে, এইরূপ বলিয়। বর্ণনা করিতে হয় । বাক্য মনের সহিত আত্মাকে না পাষ্টয়া আত্মার স্বরূপ প্রকাশে অসমর্থ হইয় ফিরিয়া আসে। বড় জোর তাহা বিশুদ্ধ চেতনাস্বরূপ এই পৰ্য্যস্ত বলিয়াই নিরস্ত হইতে হয় । কিন্তু সেই চেতনা আবার কি, তাহা বুঝান চলে না । এইরূপে বেদান্ত আত্মাকে নিগুৰ্ণ নিরুপাধিক অনিৰ্ব্বাচ্য বলিয়া বর্ণনা করেন । হিউমের দ্যায় প্রপঞ্চ মাত্র-স্বীকারী এইখানে আসিয়া বলেন, যাহার স্বরূপ কি, তাহ জানি না, বুঝি না, বুঝাইতেও পারি ন, যাহার অস্তিত্বের প্রমাণ করিবার উপায় নাই, তাহার অস্তিত্বস্বীকার বৃথা জল্পনা । ক্ষণিকবিজ্ঞানবাদী বৌদ্ধও প্রায় সেই কথাই বলেন। তিনি বলেন, যদি বাস্তবিকই সেইরূপ কোন অনিৰ্ব্বাচ্য পদার্থ থাকে, ও তাহার নামকরণ নিতান্তই আবশ্ব ক হয়, তাহাকে শুল্প বলাই ভাল । বেদান্ত জোরের সহিত বলেন, আমি উহাকে শঞ্চ বলিতে প্রস্তুত নহি । শূন্ত বলারও যে ফল, নাস্তি বলারও সেই ফল। উহ নাস্তি, ইহা বলিতে আমি প্রস্তুত নহি । উহা নাস্তি নহে ; আমি জানিতেছি, উহা অস্তি ; উহার অস্তিত্ব সম্বন্ধে তামি যেমন নিঃসংশয়, অন্ত কোন পদার্থের অস্তিত্ব সম্বন্ধে আমি তেমন নি:সংশয় নহি । অথচ উহ কেমন, তাহা ভাষা দ্বারা বুঝাইতে পারি না । ভাষা দ্বারা বর্ণনীয় নহে, বুঝাইবার ভাষা পাই না, অতএব নাই— নাস্তিকগণের এই তর্ক বিচারসাপেক্ষ । বুঝিতে পারি, অথচ বুঝাইতে পারি না, এরূপ উদাহরণ অনেক আছে । একটা মোটা উদাহরণ দিব ।