পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তি ఇbrసి মনে কর, সবুজ রঙ ; সবুজ রঙ কাহাকে বলে, তাহা আমি জানি ; উহ! আমার একটা পরিচিত প্রত্যয় । কিন্তু যে ব্যক্তি জন্মান্ধ, তাহাকে সবুজ রঙ কিরূপ, তাহা বুঝাইবার কোন আশা নাই । সেইরূপ যে ব্যক্তি অন্ধ নহে, অথচ সবুজ রঙ কখনও দেখে নাই, তাহাকেও আমি বর্ণনা দ্বারা, সবুজ রঙ কি তাহা বুঝাইতে পারিব না । তবে একটা গাছের পাতা তাহার সমক্ষে উপস্থিত করিয়া বলিতে পারি, যে ইহাই সবুজ রঙ । জন্মান্ধকে যেমন রঙ বুঝান যায় না, তেমনি জন্মবধিরকে শব্দ বুঝান চলে না । সেইরূপ চেতনা কি, তাহা আমি জানি, তাহা আমি বুঝতে পারি, আমি উপলব্ধি করি ; উহার একটা নাম দিতেও পারি ; কিন্তু অন্তকে বুঝাইতে পারি না । হিউমের মত যিনি আত্মাকে উপলব্ধি করেন নাই, তাহাকে আমরা জোর করিয়া উহা উপলব্ধি করাইতে পারি না । আবার আত্মা যদি একের অধিক বহু থাকিত, যদি আত্মার সদৃশ বা সমধম্ম অন্ত কিছু থাকিত, তাহা হইলেও সেই বস্তু নাস্তিককে দেখাইয়া বলা যাইতে পারিত, এই আত্মা, অথবা আত্মা ইহারই মত । কিন্তু আত্মা বহু নহে ; উহার সদৃশ বা সমধৰ্ম্ম অন্ত কোন বস্তু নাই ; উৎ এক অদ্বিতীয় চেতন পদার্থ ; জগতে আর দ্বিতীয় চেতন পদার্থ নাই । কাজে ষ্ট যতক্ষণ নিজে না বুঝিবে, ততক্ষণ উহার স্বরূপ বুঝাইবার উপায় নাই । তবে গোল এই যে বেদাস্ত এক মুখে আত্মাকে নিগুণ বলিয়া বর্ণনা করেন, অন্ত মুখে আবার তাহাকে সৰ্ব্বজ্ঞ সৰ্ব্বশক্তিমান জগৎকারণ ঈশ্বর বলিয়া বিবৃত করেন, এ কিরূপ ? ইহার সামঞ্জস্ত হয় কিরূপে ? ঐ প্রকাণ্ড উপাধি বর্তমান থাকিতে আত্মাকে নিরুপাধিক বলিব, একি ব্যাপার ? একবার বলিতেছি আমি জগতের স্রষ্টা ; আবার বলিতেছি, আমি গুণবর্জিত ; এ কিরূপ ব্যাপার ? & বেদান্ত এইরূপে উত্তর দেন । বেদাস্ত বলেন, এই সৰ্ব্বজ্ঞঙ।

  • S