মুক্তি २8b> জল বলা যায়। বস্তুতঃ জল বলয় আমার বাহিরে কিছু নাই । কিন্তু জলবুদ্ধি আছে ; জলের প্রত্যয়টা আছে । মরীচিকাতে যে প্রত্যয় জন্মাইয়াছে, উহা জলেরই প্রত্যয় । যতক্ষণ ঐ প্রত্যয় থাকে, ততক্ষণ উহা জলেরই প্রত্যয়—বে প্রত্যয়সমষ্টিকে আমি জল নাম দিই, উষ্ঠা সেই প্রত্যয়সমষ্টি । কাজেই উহা সত্য ; অন্ততঃ যতক্ষণ মরীচিকা থাকে, যতক্ষণ હૈ জল প্রত্যয় থাকে, ততক্ষণ উহ! সত্য । তার পর যখন অন্য প্রত্যয় উপস্থিত হইয়। পুৰ্ব্ব প্রত্যয়কে ধ্বংস করে, জলপ্রত্যয় নষ্ট করিয়া দেয়, তখন বলা যায়, ঐ পুৰ্ব্ববর্তী প্রত্যয় মিথ্যা । যতক্ষণ ঐ জলপ্রত্যয় ছিল, ততক্ষণ উহা সত্যই ছিল ; ততক্ষণ তুমি মাথা খুড়িলেও আমি উহাকে জলের প্রত্যয় ভিন্ন অন্ত প্রত্যয় বলিতাম না । এখন যখন সে প্রত্যয় গিয়াছে, তখন উহাকে মিথ্য বলিতে প্রস্তুত আছি। এতক্ষণ উহাকে সত্য বলিতেছিলাম ; কিন্তু এখন জানিতেছি, উহা স্থায়ী সত্য নহে, উল্লাহ তাৎকালিক সত্য । যাহা স্থায়ী সত্য নহে, তাহাকে তৎকালে যে সত্য মনে করির ছিলাম, তাহারই নাম অধ্যাস । এখন নুতন প্রত্যয় আবির্ভাবের পর নুতন বুদ্ধির উদয় হইয়াছে ; অধ্যাস কাটিয়া গিয়াছে । সেইরূপ রজুকে যখন সৰ্প বোধ হয়, ঐ বোধও একটা প্রত্যয় ; তৎকালে উহা সত্য । কিন্তু সর্পবুদ্ধি কাটিয়া গেলে জানিতে পারি, ঐ বুদ্ধি তাৎকালিক সত্য মাত্র । এইরূপ স্বপ্ন এক হিসাবে সত্য, অদ্য হিসাবে মিথ্যা । যতক্ষণ স্বপ্ন দেখি, ততক্ষণ উছার মত সত্য আর কিছুই নাই । কাহারও সাধ্য নাই, উহা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে ; কিন্তু প্রবুদ্ধ অর্থাৎ জাগরিত হইলে সে মধ্যাস যায় ; তখন উহা সত্য নহে, জানিতে পারি। আত্মার স্বরূপ বিচার করিতে গেলেও সত্য মিথ্যা ঠিক্ এইরূপেই বুঝিতে হইবে । o এই যে জড়জগৎ, যাহা আমার বাহিরে আমি দেখি, উহাও একার্থে
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩০০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।