२:०२ জিজ্ঞাসা সত্য, অন্ত অর্থে সত্য নহে। যতক্ষণ উহাকে আমি আমার বাহিরে আমা হইতে স্বতন্ত্র ভাবে দেখি, ততক্ষণ উহা সত্য-কাহার সাধ্য উহাকে মিথ্যা বলে । তখন উহা সত্য–উহা তাৎকালিক সত্য— উহা ব্যবহারিক সত্য—কেন না উহা কতকগুলি ইন্দ্রিয়লব্ধ বুদ্ধিগোচর প্রত্যয়ের সমষ্টি । উহার এই সত্যত স্বীকার করিয়াই আমার জীবনযাত্রা চলিতেছে ; নতুব। আমার জীবন কোথায় থাকিত ; আমার প্রাণ যাত্রা অসম্ভব হইত। যতক্ষণ উহাকে ঐরুপ সত্য মনে করি, ততক্ষণ উহার অস্তিত্ব বুঝাইবার জন্ত, উহা কোথা হইতে আসিল বুঝাইবার জন্ত, উহার' নিৰ্ম্মাতার, উহার স্বষ্টিকৰ্ত্তার অস্তিত্বকল্পনা আবশুক কয় । তা ত হইবেই। উহ যখন সত্য—তাৎকালিক সত্য, তখন উহার উৎপত্তি-স্থিতি-লয়ের কারণ অনুসন্ধান করিতেই হইবে । তখন আমরা অন্ত কারণের সন্ধান না পাইয়া, প্রচলিত কারণের অসঙ্গতি দেখাইয়া, আত্মাকেই উহার কারণ, আত্মাকেই জগতের শ্রষ্ট বিধাতা বলিয়া নির্দেশ করি । যতক্ষণ এই জগৎ সুব্যবস্থ সুনিয়ত উদেণ্ডানুযায়ী বৃহৎ যন্ত্ররূপে প্রতীত হয়, ততক্ষণ যাহাকে সেই যন্ত্রের নিৰ্ম্মাতা ও চালক মনে করা যায়, তাহাকে সৰ্ব্বজ্ঞ সৰ্ব্বশক্তিমান প্রভৃতি বিশেষণে বিশিষ্ট করিতে বাধ্য হই। সচেতন জড়জগৎ যখন আপনাকে আপনি উদ্দেগুমুখে চালাইতে পারে না, তখন যে একমাত্র চেতন পদার্থকে আমি জানি, সেই চেতন আত্মাকেই সৰ্ব্বজ্ঞ সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বর বলিয় নির্দেশ করি। জড়র্জগৎ যে হিসাবে সত্য, আত্মার সর্বজ্ঞত্বাদিও ঠিক্ সেই হিসাবে সত্য । ইহাতে বিস্ময় প্রকাশের কারণ নাই । 彎 緣 কিন্তু যখন বুঝতে পারি, এই জড়জগৎ স্বপ্নসদৃশ, উহার স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নাই, তখন বুঝিতে পারি উহা একটা অধ্যাসমাত্র । যাহার স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নাই, তাহাতে যখন স্বতন্ত্র অস্তিত্ব আরোপ করি
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।