মুক্তি ఫిసిరి য়াছি, তখন সেই আরোপ কেবল অধ্যাস । তখন বুঝিতে পারি যাহাকে সত্য মনে করিতেছিলাম, উহা তাৎকালিক ব্যাবহারিক সত্য মাত্র, স্থায়ী পারমার্থিক সত্য নহে। সেই কল্পিত জগতে যে নিয়মের, যে ব্যবস্থার, যে উদ্দেশ্যের অস্তিত্ব দেখিতেছিলাম, জগৎই যখন কল্পনা, তখন সে সকলই কল্পনা । জগৎই যখন অধ্যাস, সে সকলই তখন অধ্যাস । তখন সেই মিথ্য জগতের স্রষ্ট বিধাতা নিয়ন্ত কল্পনারই বা প্রয়োজন কি ? যাহা নাই, তাহার আবার স্বষ্টি কি ? তাহার আবার নিয়ন্ত কি ? ঐ সকল বিশেষণ তখন অর্থশূন্ত হইয়া দাড়ায় । বন্ধার পুত্র যেমন অর্থশূন্ত, ঘোড়ার ডিমের যেমন অর্থ হয় না, অস্তিত্বহীন পদার্গের স্বষ্টিকৰ্ত্ত তেমনই অর্থশূন্ত । জ্ঞানেদিয়ে এই অর্থশুষ্ঠতা বুঝতে পারি। তখন আর আত্মায় কর্তৃত্ব নিয়ন্থত্ব প্রভৃতি আরোপের আবশুকতা থাকে না । জগৎকে সত্য ধরিয়াই আত্মাকে উহার স্রষ্ট ও নিয়ন্ত, অতএব সৰ্ব্বজ্ঞ ও সৰ্ব্বশক্তিমান বলিতেছিলাম । জগতের সত্য যখন ৰ্যাবহারিক সত্য হইল, তখন আত্মারও ঈশ্বরত্ব ব্যাবহারিক ভাবে সত্য। লোকব্যবহারের হুন্ত, জীবনযাত্রার সুবিধার জন্ত, আমি জগৎকে সত্য ও আত্মাকে জগতের কৰ্ত্ত বলিয়। নির্দেশ করিয়াছিলাম । জগৎকে যদি সত্য বল, আত্মাকেই উহার কৰ্ত্ত বলিতে হইবে । অন্ত কৰ্ত্ত কাহাকেও খুজিয়া পাওয়া যায় না s কিন্তু যখন অধ্যাসের লোপ হয়, তখন জগৎকেই মিথ্যা বলিয়া জানি, তখন আত্মাতে আর জগতের কর্তৃত্ব আরোপের প্রয়োজন থাকে না । যাহা নাই, তাছার আর কৰ্ত্ত কি ? কাজেই ব্যাবহারিক হিসাবে আত্ম। ঈশ্বর ও সোপধিক ; পরমার্থত: আত্মী কর্তৃত্বহীন নিগুৰ্ণ ও নিরুপাধিক । বেদাস্তমতে আমি পরমার্থত: উপাধিশুস্ত, কিন্তু ব্যবহারতঃ উপাধিযুক্ত । একভাবে দেখিলে আমার কোন গুণ নাই, কর্তৃত্ব পর্য্যস্ত নাই, অন্ত ভাবে দেখিলে আমিই জগৎকৰ্ত্ত । এই জগৎকর্তৃত্বরূপ উপাধি,
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।