পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯৪ জিজ্ঞাসা যাহা আমি আমাতে আরোপ করিয়! মৎকল্পিত স্বষ্টিপ্রণালীর ব্যাখ্য' করি, ইহার পারিভাষিক নাম মায়া । বেদাস্তের ভাষায়, আত্মা মায়োপাধিক হইলে ঈশ্বর হয়, অর্থাৎ অামি অামাতে মায় নামক উপাধি আরোপ করিয়া জগতের সৃষ্টি করি । ঐন্দ্রজালিককে মায়াবী বলে ; সে ব্যক্তি যে ক্ষমতায় দৃষ্টিবিভ্রম উৎপাদন করিয়া শূন্তমধ্যে ঘরবাড়ী নিৰ্ম্মাণ করে, কাটামুণ্ডে কথা কহায়, আমগাছে নারিকেল ফলায়, সেই ক্ষমতার নাম মায়া । বাহ জগৎ এই রূপ একটা প্রকাণ্ড ইন্দ্র জাল ; কাজেই যে পুরুষ সেই ইন্দ্র জাল উৎপন্ন করে, সে মায়াবী, সে মায়ানামক উপাধিযুক্ত। ঐন্দ্রজালিকের উৎপাদিত ঐ সকল অদ্ভুত দৃপ্তের বাস্তবিক অস্তিত্ব কিছুই নাই ; ঐন্দ্রজালিকেরও বস্তুগত্য আমগাছে নারিকেল ফলাইবার ক্ষমতা নাই । অজ্ঞলোকে ঐন্দ্রজালিকে যে অলৌকিক ক্ষমতা অর্পণ করে, ঐন্দ্রজালিকের সেরূপ ক্ষমতা কিছুই নাই । তবে যে সে ঐরূপ আশ্চৰ্য্য কৌশল দেখায়, তাহ দর্শকগণেরই অজ্ঞতার ফল । যে জানে, সে ঐন্দ্রজালিকের মায়ায় প্রতারিত হয় ন। ; সে ঐ সকল কৌশলকে মিথ্যা দৃষ্টিভ্রম বলিয়াই জানে ও ঐন্দ্রজালিককেও অলৌকিক শক্তিসম্পন্ন মানুষ বলিয়া মনে ক ে না । সেইরূপ আত্মা যে জগতের স্বষ্টি করে, সে জগৎও অলীক "ার্থ ; যে ইহা জানে না, সে প্রতারিত হয় ; তাহার নিকট আত্মা মায়াবী, অদ্ভুতশক্তিসম্পন্ন পদার্থ; আর যে জগৎকে মিথ্যা কল্পনা বলিয়া জানে, সে জানে, আত্মায় ঐ রূপ ক্ষমতার আরোপ আবশ্যক নহে । আত্ম প্রকৃত পক্ষে নি গুণ ও উপাধিশুস্ত। যে ব্যক্তি এই কথাটুকু জানে ন, সে বন্ধ ; আর যে জানিয়াছে, সে মুক্ত । বিষয়ীর সহিত বিষয়ের সম্বন্ধ কি, তাহ! এখন বুঝা যাইবে উভয়ের স্বরূপ কি, তাহা বুঝা গেল । বিষয় একটা অধ্যাস , উহার পারমার্থিক অস্তিত্ব নাই, ব্যাবহারিক অস্তিত্ব আছে । বিষয়ীর ব্যাবহারিক ও পার