মুক্তি ఇసి(t মার্থিক উভয়বিধ অস্তিত্বই আছে ; তবে ব্যবহারতঃ উহা মায়াবলে বিষয়ের স্বষ্টিকৰ্ত্তা, অতএব সৰ্ব্বজ্ঞ, সৰ্ব্বশক্তিমান ; কিন্তু পরমার্থত: উহা উপাধিরস্থিত নিক্রিয় কর্তৃত্বহীন । এই উভয়ের সম্বন্ধ কিরূপ হইতে পারে ? আমি আমাকে সৰ্ব্বতোভাবে প্রাকৃতিক শক্তিনিচয়ের অধীন সসীম সঙ্কীর্ণ সুখদুঃখভাগী জরামরণশীল ক্ষুদ্র জীব বলিয়া মনে করি । কিন্তু তাহ অধ্যাসমাত্র । প্রকৃত সম্বন্ধ ঠিক ইহার বিপরীত । আমিই বরং জগতের স্রষ্ট, নিয়স্তা, বিধাতা, বলিলে ঠিক্ হয় । আমিই জগৎকে ঐরুপ ভাবে গড়িয়াছি ও ঐরূপ ভাবে চালাইতেছি, তাই জগৎ ঐরূপ দেখায় ও ঐরূপ চলে ; এইরূপ বলিলে বরং ঠিক হয় । কিন্তু তাহাও সম্পূর্ণ ঠিকৃ নহে। পরমাৰ্ধতঃ আমি ঐরূপ কিছুই করি না । আমি ঐ রূপ করি বলিয়া বোধ হয় বটে, কিন্তু ডহ বোধমাত্র । আমি কিছুই করি না । ঐন্দ্র জালিক কাটামুণ্ডে কথা কহায় বলিয়া বোধ হয় বটে, কিন্তু উঠাও বোধমাত্র ; ঐন্দ্রজালিক তাহা করে না । অতএব আমি সম্পূর্ণ নিক্রিয় শুদ্ধচৈতন্তস্বরূপ জীব । এ পর্য্যন্ত যে আত্মার কথা বলা গেল, যাহাকে বিষয়ী বা জীব এই নাম দেওয়া হইল, সে অামি ; আর কেহই নহে । আমিই একমাত্র জীব, এবং এই জীবই ব্রহ্ম, এই আমিই ব্ৰহ্ম । এখন জিজ্ঞস্ত হইতে পারে, জীবাত্মাই যদি একমাত্র অদ্বিতীয় পদার্থ, জীবই যখন ব্রহ্ম, তখন আবার পরমাত্মা নামটা বেদাস্তের ভাষায় ব্যবহৃত হয় কেন ? আত্মা বা জীবাত্মা বা জীব শব্দ ব্যবহারেই যখন সকল কাজ চলে, তখন পরমাত্মা নামক আর একটা অক্সিার কল্পনা করিয়া শেষে সেই পরমাত্মার সহিত জীবাত্মার অভেদ প্রতিপাদনরূপ উৎকট পরিশ্রমের প্রয়োজন কি ? পরমাত্মার নাম আদৌ উঠে কেন ? পরমাত্মা যদি জীবাত্মার সহিত সৰ্ব্বতোভাবে অভিন্ন, তবে পরমাত্মা এই পৃথক্ নামকরণের প্রয়োজন কি ?
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।