ఫిసెల জিজ্ঞাসা প্রয়োজন কি, তাহ শারীরক ভাষ্যের আরস্তুেই একটি কথা আছে, তাহা হইতে বুঝা যায়। ভাষ্যকার যাবতীয় পদার্থকে বিষয়ী ও বিষয় এই দুই ভাগে ভাগ করিয়াছেন—বিষয়ী অামি, আর বিষয় আমাছাড়া আর সব । এই দুয়ের সম্বন্ধ আলো আর আঁধারের মত সম্পূর্ণ বিপরীত বলিয়াই আমাদের বোধ হয় । যাহ। বিষয়ী, তাহা বিষয় নহে ; যাহা বিষয়, তাহা বিষয়ী নহে। যে দেখে সেই বিষয়ী, যাহা দেখা ষায় তাহা বিষয় । কিন্তু তার পরেই ভাষ্যকার বলিয়াছেন—এই বিষয়ী অর্থাৎ আত্মা সম্পূর্ণ অবিষয় নহে, সম্পূর্ণ অপ্রত্যক্ষ নহে—অর্থাৎ আমি একাধারে বিষয়ী ও বিষয় । এই কথাটা প্রণিধানযোগ্য । আমি যেমন তোমাকে জানি, রামকে জানি, তামকে জানি, তেমনি আমি আমাকেও জানি । আমাকে আমি জানি না, এ কথা আমি বলিতে পারি না । আমি একদিকে জ্ঞাতা, অন্ত দিকে আমারই জ্ঞেয় ; আমিই আমার অহংবৃত্তির গোচর । যাহা জ্ঞানগম্য, যাহা জানা যায়, তাহাকেই যদি বিষয় বলা যায়, তাহা হইলে আমি একপারে বিষয়ী ও বিষয় । পাশ্চাত্য দর্শনেও Ego নামক আমাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় । এককে বলা হয় Empirical Ego—অর্থাৎ বিষয় আমি ; অন্তকে qail *z. Pure Ego zi Transcendental Ego—অর্থাৎ {१क्षग्रौ আমি । বেদান্ত শাস্ত্রে এই বিষয় আমার বা জ্ঞানগম্য আমার পারিভাষিক নাম জীবাত্মা ; আর এই বিষয়ী আমার বা জ্ঞাত আমার পারি fষক নাম পরমাত্ম । এই উভয় আমার মধ্যে সম্বন্ধ কি ? বলা বাহুল্য ইনিও যে আমি, উনিও সেই আমি । আমিই আমাকে জানি, এই জ্ঞানক্রিয়ার কর্তা আমি ও কৰ্ম্ম আমি, উভয়ই এক ও অভিন্ন আমি। ইহাতে মতদ্বৈধের সম্ভাবনা নাই। অথচ অন্তভাবে দেখিলে উভয়কে ভিন্ন বলিয়া বোধ হয়। কিরূপে, দেখা যাক।
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।