পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তি ૨:૩૧ আত্মা একাধারে বিষয়ী ও বিষয়-ভাষ্যকারের এই উক্তির তাৎপৰ্য্য বুঝিবার চেষ্টা করা গেল । এই বিষয়ীর নাম পরমাত্মা ও বিষয়স্বরূপে প্রতীয়মান আত্মার নাম জীবাত্মা । আমিই আমাকে দেখি ; যে আমি দেখে, সে পরমাত্মা ; যে আমাকে দেখা যায়, সে জীবাত্মা । এই জ্ঞাত আমি নিৰ্ব্বিকার নিক্রিয় ; আর জ্ঞানের বিষয় আমি পরিবর্তনশীল, বিকারশীল, জড়ের ঘাতপ্রতিঘাতে মুহমান, জড়জগৎ কর্তৃক অভিভূয়মান, জরামরণশীল, কৰ্ম্মপর, সংসারে ভ্রমমাণ । এইরূপে দেখিলে উভয়ে ভিন্ন, আবার উভয়েই এক। পরমাত্মাও যে জীবাত্মাও সে, বেদান্তের এই কথাটার উপরেই দ্বৈতবাদীর যত আক্রোশ । কিন্তু এই আক্রোশের কোন কারণই নাই । পুৰ্ব্বেই বলা গিয়াছে দ্বৈতবাদী হাওয়ার সহিত যুদ্ধ করেন । অস্বয়বাদীর ঐ উক্তির সরল অর্থ যে বিষয়ী অামি ও বিষয় আমি একই ব্যক্তি । যে দেখে ও যাহাকে দেখে, সে একই ব্যক্তি । উভয়ের মধ্যে কোন ভেদ নাই । আমিই আমাকে দেখি, এখানে দেখা ক্রিয়ার কর্তা ও কৰ্ম্ম উভয়েই এক অভিন্ন ব্যক্তি । কঁহারই নাম অ দ্বয়বাদ । আমি একজন ব্যতীত আর দুই জন নাই । একমেবাদ্বিতীয়ম | ইংরেজিতে personal identity নামে একটা কথা আছে । উহার অর্গ কালিকার অামি ও আজিকার অামি একই ব্যক্তি । কিন্তু এই ঐক্য জ্ঞেয় আমার ঐক্য ; জ্ঞাত আমার ঐক্য নহে। কাল আমি আমাকে যেরূপ দেখিয়াছিলাম, আজ ঠিক সেইরূপ দেখিতেছি না, কিন্তু বস্তুগত্য সেই আমি অবিকৃত আছি, ইহা বুঝানই ঐ উক্তির তাৎপর্য্য । উভয়েই এক, কেন না কালও যে আমি ছিলাম, আজ ও ঠিক সেই আমিই আছি। দেখিতে ভিন্ন বোধ হইলেও উভয়ের ঐক্যে কেহ সন্দেহ করেন না । বাল্যের আমি ও যৌবনের আমি ও আজিকার