স্থখ না দুঃখ ? ২৩ আমাতে, কতক তোমাতে, কতক মৎস্ত কুম্ভীরে, ইহা স্বীকাৰ্য্য নহে। আমিই চিন্ময় একমাত্র সদ্বস্তু, আর সমস্তই আমার কল্পনা । আমার চৈতন্তের প্রমাণ অনাবশুক, মদ্বহিভূত চৈতন্তের প্রমাণ নাই। এই চৈতন্তরূপী “অহম্’, প্রাকৃত ভাষায় "আমি", সংস্কৃত ভাষায় 'আত্মা’ বা ‘ব্ৰহ্ম’, ইহাই এক এক অদ্বিতীয় সদ্বস্তু । ইহাই বোধ করি বেদান্তের তাৎপর্য্য । এই এক এল সদ্বস্তু, ইহার স্বরূপ কি ? ইহা সৎ, ইহা অস্তি, ইহা সত্য পদার্থ—তথাস্তু । ইহা চিৎ, ইহা চিন্ময় পদার্থ—mindstuff–তথাস্তু। ইহা আনন্দ—তাই কি ? কেহ কেহ ভ্ৰকুটা করিবেন ;—বলিলেন জানি না, উহা অজ্ঞেয়, অনির্দেশু । স্পেন্সারের ক ও খ’এর খ’কে ছাটিয়া ফেলিয় অবশিষ্ট ক । বৌদ্ধ বলেন উহা শূন্ত । হিউম ও হক্সলী হয়ত বলিবেন, সদ্বস্তুর জন্ত এত মাথাব্যথা কেন ? যাহা আছে, তাহাই আছে । মায়াপটের অন্তরালে যাইবার আবশুকতা কি ? চিদ্বস্তু, সন্দেহ নাই ? কিন্তু চিদ্বস্তুর মুলে কি আছে, অন্বেষণের প্রয়োজন নাই । নোমেননের মরীচিকায় প্রতারিত হইও না । সুখ না দুঃখ ? মোটামুটি বলিতে গেলে "মানুষ মুখের জন্ত লালায়িত এবং দুঃখকে পরিহার করিবার জন্তই সৰ্ব্বতোভাবে যত্নশীল । সুখের জন্ত, অর্থাৎ সুখ বলিতে যাহা বুঝায়, . বা যে যা’ বুঝে, তাহার জন্ত, অন্বেষণ ও তাহার লাভের চেষ্টাই জীবন । শুধু মনুষ্যজীবন কেন, ইতর প্রাণীর পক্ষে সুখের চেষ্টাই জীবনপ্রণালী ; এবং স্থল হিসাবে স্বখান্বেষণ চেষ্টার ফলেই জৈবিক অভিব্যক্তি ও জৈবিক প্রবাহ । এস্থলে সুখ কি, সুখের অর্থ কি, তৎসম্বন্ধে বিতর্ক তোলার প্রয়োজন
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।