পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১২ জিজ্ঞাসা কাজেই এই মুক্তির উপায় জ্ঞান –এই জ্ঞানলাভেই মুক্তি ঘটিবে— মরণকালের জন্ত অপেক্ষা করিতে হইবে না । জীবন থাকিতেই মুক্তি ঘটিবে-জীবন্মুক্তিই মুক্তি । সচরাচর বলা হয়, মুক্তির পর আর স্ব পছ:প থাকে না, মুক্তির পর আর জন্মগ্রহণ করিতে হয় না । এই সকল বা ক্যও সরল ভাবে গ্রহণ করা উচিত। মুক্তির পর, অর্থাৎ জীবন্মুক্তির পর, স্থখদুঃখ কেন থাকিবে না ? সুখদুঃখ থাকিবে বৈ কি { লেদাস্ত বলেন, প্রারব্ধ ও সঞ্চিত কৰ্ম্মের ফল ভুগিতেই হইবে । মুক্ত হইলেও যথাকলে ক্ষুধার উদ্রেক হইবে, আগুনে হাত পুড়িবে, বাঘের সম্মুখে পড়িলে পলাইতে হুইবে । বেদাস্তের ভাষায় প্রারব্ধ ও সঞ্চি ত কৰ্ম্মের ফল আমাকে ভূগিতেষ্ট হইবে ; তবে সেই সকল আর আমাকে বধিতে পরিবে না, ফলভোগী হইয়াও আমি নির্লিপ্ত থাকিব । সরল ভাষায় ইহার অর্থ এই যে সুখদুঃখের বোধ ঘটিলেই ; তবে জ্ঞানোদয়ের পর , সেই মুখকে ও সেই দুঃখকে ব্যাবহারিক মনুষ্যজীবনের আনুষঙ্গিক প্রতায় পরম্পর বলিয়। জানিব । মুক্তির পুৰ্ব্বে উহাকে সত্য মনে করিতেছিলাম, এখন উহাকে ব্যাবহারিক সত্য বুলিয়া জানিব । আর জন্মাস্তুর পরিগ্রহ মুক্ত পুরুষকে আর সংসারে ফিরিতে হয় না, এই বাক্যের মৰ্ম্ম কি ? যে মুক্ত, তার পক্ষে দহটাই কল্পনা ; তার পক্ষে দেহ-ধৰ্ম্ম মরণ ঘটনাটাও কল্পনা ; তাঙ্গর পক্ষে মরণ একটা প্রত্যয়মাত্র । মরণই যেখানে নাই, সেখানে অার জন্মাস্তরপরিগ্রহ কি ? তাহার পক্ষে ইহলোকই বা কি আর পরলোকই বা কি ? স্বৰ্গ, নরক, পরকাল, এমন কি সমস্ত ভবিষ্যৎ, তাহার নিকট অবিদ্যমান । অবিদ্যাগ্ৰস্ত জীব মাপনাকে কাল ব্যাপিয়া অবস্থিত দেখে ; কিন্তু অবিদ্যামুক্ত জীব, যে বিষয়ী ব্রহ্মের সহিত সৰ্ব্বতোভাবে অভিন্ন, সে