পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জিজ্ঞাসা 8 כ(א বেদান্তের স্থল কথাগুলি এখন একবার সংক্ষেপে আবৃত্তি করা যাক । (১) একমাত্র চেতন পদার্থ বৰ্ত্তমান—উহা আমি—উহার অস্তিত্ব জ্ঞানগম্য ও স্বতঃসিদ্ধ। উহা দেশকালনিরপেক্ষ নিগুৰ্ণ নিরুপাধিক পদার্থ ; কাজেই উহার স্বরূপ ভাষাদ্বারা অপ্রকাহ । ইহা নহে, ইহা নহে, এইরূপ অভাববাচী বিশেষণে উহা বুঝাইতে হয় । (২) এই আমি আমার বাহিরে একটা প্রকাণ্ড দেশের কল্পনা কবিয়া সেই দেশে আমার কল্পিত জড় জগৎকে প্রক্ষেপ করি ও কল্পিত দেশ মধ্যে তাহাকে ব্যবস্থা করিয়া সাজাই । এখানে স্বৰ্য্য রাখি, ওখানে চন্দ্র রাখি, এখানে পৃথিবী রাখি ইত্যাদি । এবং সেই স্বৰ্য্যচন্দ্রপৃথিবীকে বাধা নিয়মে ঘুরাই । পুনশ্চ, আমার বাহিরে এক প্রকাও কালের কল্পনা করিয়া সেই কল্পিত কালে আমার স্বল্প জগৎকে প্রক্ষেপ করি । তাহার কিয়দংশকে বলি অতীত, কতকটাকে বলি বর্তমান, ও বাকিটাকে বলি ভবিষ্যৎ । • পুনশ্চ, এষ্ঠ দেশ ব্যাপিয়া ও কাল ব্যাপিয়া প্রক্ষিপ্ত জগৎকে একটা উদ্দেশুের অভিমুখে পরিচালনা করি । (৩) এই দেশকালে সজ্জিত ব্যবস্থানুযায়ী ও উদেশ্বাস্থসারী জগতের স্বষ্টির জন্ত আত্মাতে যে ক্ষমতা আরো করা হয়, উহার নাম দেওয়া হয় মায় । কিন্তু জগৎ যেখানে কল্পিত, সেই স্বাক্টক্ষমতাও সেখানে আরোপমাত্র বা অধ্যাস মাত্র । উক্ত মায়। আরোপে নিরুপাধিক আত্মা সোপাধিক বলিয়া প্রতীত হয় বটে, কিন্তু সেও প্রত্যয়মাত্র । এই সোপাধিক রূপে প্রতীত অর্থাৎ মায়াযুক্ত আত্মার নাম দেওয়া হয় ঈশ্বর ; কেননা ইনিই কল্পিত জগতের কল্পনাকারক, স্বস্ট জগতের স্বষ্টিকৰ্ত্ত । জগতের কল্পিত প্রকাগুত্ব ও বৃহত্ত্ব দেখিয়া তাহার স্বষ্টিকৰ্ত্তাতেও, অর্থাৎ ঈশ্বরেও, সৰ্ব্বজ্ঞতা ও সৰ্ব্বশক্তিমত্তা প্রভৃতি আরোপ করা হয় ।