পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তি \రి (t (৪) আর একটি অদ্ভুত কথা এই, যে আমি যেমন আমা হইতে পৃথক্ জড়জগতের কল্পনা করিয়া আপনাকে উহার স্রষ্ট ও নিয়স্তা বা ঈশ্বর মনে করিতে বাধ্য হই, সেইরূপ আমিষ্ট আবার আমাকে আমা হইতে পৃথক্ রূপে দেখিয়া থাকি । উক্ত কল্পিত জড়জগৎ যেমন আমার জ্ঞানগম্য বিষয়, এই আমিও তেমনই আমার জ্ঞানগম্য বিষয় । অধিকন্তু এই বিষয় আমাকে আমি আম হইতে পৃথক্ দেখিয়া তাহার সহিত মংকল্পিত জড়জগতের একটা সম্বন্ধ আরোপ করি । আমাকে সৰ্ব্বাংশে সেই জগৎ হইতে ক্ষুদ্র, সেই জগতের বশতাপন্ন, সেই জগতের সহিত সম্বন্ধ বজায় র (পি বার জষ্ঠ হেয় বৰ্জ্জনে ও উপাদেয় গ্রহণে সৰ্ব্বদা ব্যাকুল ও তদৰ্থ ক্রিয়াশীল, সড়জগতের আঘাতসহ ও সেই আঘাতে পরিবর্তনশীল, সুখদু:খ-ভোগী, জরামরণ নীল, বলিয়া মনে করি। কিন্তু ইহা মনে করা ভুল । এই ভ্রাস্তির মাম দেওয়া হয় অবিদ্যা ;–বস্তুতঃ ভড় জগৎই মিথ্য ও জড় জগতের সহিত আমার এই কল্পিত সম্বন্ধও মিথ্য। আমি বিকারশীল বলিয়া আমার নিকট প্রতীয়মান হষ্টলেও এই জ্ঞানগম্য আমি জ্ঞাত আমি হইতে সৰ্ব্বতোভাবে অভিন্ন । অবিদ্যাবশে আমি নিরুপাধিক হইয়াও আমাকে সোপাধিক ক্ষুদ্র জীব বলিয়া মনে করি । ( e ) কাজেই যিনি আত্মা, অর্থাৎ যে অনিৰ্ব্বাচ্য চৈতন্তস্বরূপ পদার্থকে আমি নাম দেওয়া হয়, তিনিষ্ট এক দিকে ঈশ্বর, অন্ত দিকে জীব মায়ার উপাধি আমাতে আরোপ করিয়া আমি জগৎকৰ্ত্ত৷ জগতের প্রভু ঈশ্বর , আর অবিদ্যার উপাধি আমাতে আরোপ করিয়া আমি জগতের অধীন জগতের দাস জীব। কিন্তু স্বরূপত: যে ঈশ্বর, সেই জীব । (৬) এই তত্ত্ব জানিলেই মুক্তি ঘটে ; অর্থাৎ জগৎকে কল্পনা মাত্র বলিয়া বুঝা যায় ও জীবকে তাহার অনধীন বলিয়া বুঝা যায়।