পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w)?b- জিজ্ঞাসা ইত সত্য কথা । অগত্য দুৰ্ব্বল আত্মরক্ষার জন্ত সবলের উপাসনায় বাধ্য হয় । মানুষের উপর প্রকৃতির অত্যাচার অধিক কি মামুষের অত্যাচার অধিক, বল কঠিন । সবল প্রকৃতির পীড়নে দুৰ্ব্বল মানুষ চিরদিন পীড়িত ; এবং সবল মানুষের পীড়নে গুধবল মানুষ চিরদিন ধরিয়া ততোধিক নিগৃহীত । আত্মরক্ষার জন্ত দুৰ্ব্বলের উভয়ত্র একমাত্র পন্থা সবলের উপাসনা । মনুষ্যের উপাসনা এ প্রস্তাবের বিষয় নহে প্রকৃতির উপাসনা বর্তমান প্রসঙ্গের আলোচ্য । সৰ্ব্বদেশে সৰ্ব্বকালে মানব প্রকৃতিপুজায় নিযুক্ত। এই প্রকৃতিপূজার উৎপত্তি কিরূপে হইল, তাহ নির্ণয়ে প্রবৃত্ত হইয়া নানা পণ্ডিতে নানা কথা কহিয়াছেন । মোক্ষমূলরের সিদ্ধাস্ত এক রকম ; হবার্ট স্পেন্সারের সিদ্ধান্ত অন্তরূপ । অন্ত পণ্ডিতে অন্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন। সেই সকল বিচারে আম প্রবৃত্ত হইব না। মানুষ আপনাকে জড় জগতের অধীন বলিয়া ভাবে । জড় জগৎ তাহার প্রভু ; মানুষ তাহার দাস । প্রভুর ক্ষমতার সীমা নাই ; প্রভুর খেয়াল নিরঙ্কুশ । সে ক্ষেত্রে উপাসনাই শ্রেয়ঃকল্প । অব্যবস্থিতচিত্ততায় প্রকৃতির সহিত জষ্ঠ কোন প্ৰভু তুলনীয় নহে । কখন কিরূপ খেয়াল থাকিবে, হিসাৰ করিয়া গণনা চলেন। তাই সৰ্ব্বত্র উপাসনাই শ্রেয়ঃ কল্প । সুতরাং প্রকৃতিতে যাহ। কিছু প্রবল ও শক্তিশালী বলিয়া বোধ কর, তাহারই উপাসনা কর । স্বর্য্যের পূজা কর, চন্দ্রের পুজা কর, মেঘের পূজা কর, বায়ুর, জলের, আগুনের সকলেরই পূজা কর । বৃক্ষ পৰ্ব্বত নদী সমুদ্র, কেহই যেন ফঁাক না যায় । কাহার মনে কি আছে কে বলিতে পারে ? কাহার শক্তি কিরূপ তাহ কে জানে ? যাহাকে সম্মুখে