প্রকৃতি-পূজা ৩২৩ চক্ষুঃস্বরূপ ; তিনি ধীশক্তির প্রেরণা করেন । তাহার উপাসনায় অগ্রসর হও । অদ্য ভদ্রের কৃষ্ণাষ্টমী, মুখের শরতের আরম্ভ ; গোকুলবাসী নন্দোৎসবে প্রবৃত্ত। অদ্য শরতের মহাষ্টমী ; বর্ষপগমে বহুধা নিৰ্ম্মল মুখ শ্ৰী ধরিয়া হাসিতেছে ; মহাশক্তির বোধন হষ্টয়াছে, প্রবুদ্ধশক্তির আরাধন কর । অদ্য কোজাগরী পূর্ণিমা ; মহালক্ষ্মীর চরণক্ষেপে জগৎ'শতদল বিকশিত হইয়াছে ; এমন রাতে কি ঘুমায় ? নারিকেলোদক পান করিয়া অক্ষত্ৰীড়ায় আজি রাত্রি যাপন কর । অদ্য শারদোৎফুল্লমল্লিক কাৰ্ত্তিক পৌর্ণমাসী ; বসুন্ধর জ্যোৎস্নাবিধৌত শুভ্ৰবসন পরিধান করিয়া যৌবনরাগ বিকাশ করিয়া প্রিয়তমের প্রতি অভিসারে চলিয়াছে এবং প্রিয়সঙ্গমে রাসরসে হাসিতেছে ও তরলতরঙ্গে নাচিতেছে। অধ্য উত্তরায়ণসংক্রাস্তি ; হিমঋতু অবসানোমুখ ; দেবগণের নিদ্রাভঙ্গ হইয়াছে। নববর্ষের আগমন হইবে ; মানবের উদ্ধারার্থ ঈশ্বর র্তাগর তনয়কে পাঠাষ্টয়াছেন । অৰ্দ্ধ পৃথিবী আনন্দে উৎফুল্ল ; ঘরে ঘরে আলো জাল, স্বরাঁপাত্রে মদিরা ঢাল। আজি বাসস্তী পঞ্চমী ; মলয় বঠিয়াছে, কুহুস্বর শোনা গিয়াছে, বাথাদিনী বীণায় ঝঙ্কার দিয়াছেন, অৰ্দ্ধ ভূমণ্ডল সেই সঙ্গীতে মুগ্ধ হইতেছে। আজ আবার বাসষ্ঠী পূর্ণিমা, মদনের মহোৎসবদিন । গোপীসখ। সেই মহোৎসবে যোগ দিয়াছেন । আজি বহাৎসবের দিন ; আকাশে খৰূপ উৎক্ষেপ কর । ফাগ কই, রঙ কই, নরনারী যে হোলিরঙ্গে মাতিয়াছে । দিনের পর রাত্রি ; রাত্রির পর দিন। জন্ম হয় মৃত্যুর জন্ত ; কিন্তু মৃত্যু হয় আবার জন্মের জন্ত। স্বষ্টির পর প্রলয়, প্রলয়াস্তে স্বষ্টি । মনুষ, চিস্তা করিও না ; প্রকৃতির এই বিধান ; প্রকৃতির উপাসন কর । প্রকৃতি তোমাদের জননী ; প্রকৃতিজননী তোমাদের জন্ত আত্মোৎসর্গপরায়ণা বিশ্বস্থষ্ট এক মহাযজ্ঞ। এই যজ্ঞে সহস্রশীর্ষ পুরুষ আত্মোৎসর্গ করিয়াছিলেন । দেবগণ র্তাহাকে পশু কল্পনা করিয়া সেই যজ্ঞে
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।