পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ R ] তরঙ্গ প্রভৃতি পাশ্চাত্য বিজ্ঞানের নিগুঢ় কঠোর তত্ত্ব সকল বাঙ্গালা ভাষায় ষে এমন সংক্ষেপে অথচ জলের মত পরিষ্কার করিয়া প্রকাশ করা যায়, এ বইখানি না পড়িলে তাহা ধারণ করা যায় না । লেখকের ভাষার সরলতা ও প্রকাশসৌন্দর্য্য দেখিয়া বাস্তবিকই চমৎকৃত হইতে হয় । তিনি একস্তানে আক্ষেপ করিয়াছেন “দীন বঙ্গভাষা ও দীন বঙ্গ - সাহিত্য ; অন্তদেশে যাহা সম্পাদিত হইয়াছে—এদেশে তাহ বর্ণনারও উপায় নাই ।” একথা অস্বীকার করিবার নহে–কিন্তু প্রকৃতির ভাষা দেখিয়া এতদূর পর্যন্ত আ* হয় যে লেখকের স্থায় কৃতবিদ ব্যক্তিগণ যদি এইরূপ বিজ্ঞান প্রচার উদ্যমে জীবন উৎসর্গ করেন—তাই হইলে তাহাদের যত্নে বঙ্গভাষার এ কলঙ্ক একদিন মোচন হইবে, বিজ্ঞানের কোন কথা কহিতেই তখন আর শব্দের অভাব হইবে না । * * এত অল্পদিনের শিক্ষাতেই আমরা যে এখনি জগদীশ বাবুর মত প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তির আবির্ভাব দেখিতে পাই, ইহা আমাদের কম গৌরবের বিষয় নহে ; এবং রামেন্দ্রসুন্দর বাবুর মত কৃতবিদ্য বৈজ্ঞা নিককে বঙ্গভাষায় বিজ্ঞান প্রচার করিতে দেখিতে পাই—ইহা ০ আমাদের কম সৌভাগ্যের কথা নহে । জগদীশ বাৰু আমাদের গৌরবভাজন—কেননা তাহার প্রতিভা দুরবিস্তৃত-ৰ্তাহার কার্য্য জগৎ সম্পর্কে, কিন্তু রামেন্দ্রসুন্দর বাবুর নিকট বঙ্গবাসী ঋণী অধিক,—কেননা তাহার কৃত উপকার কেবল আমাদিগতেই আবদ্ধ। পাশ্চা জগৎ বহুকষ্টে এ কয় শতাব্দী ধরিয়া যে সকল সত্য অবিস্কার 'ব্লয়াছে – তাহা যতক্ষণ সাধারণভাবে আমাদের দেশের আয়ন্ত্রীভূত না হইবে, ততক্ষণ তাহারি ধারাবাহিক উন্নতি স্রোতের নব নব সুক্ষলহরী দেখিয়া দিব্য দৃষ্টি সে পাইবে কোথা হইতে ? সুতরাং বিজ্ঞান চর্চার এই প্রথম যুগে যাহার দেশে পাশ্চাত্য বিজ্ঞান প্রচারের চেষ্টা করেন—এবং সে চেষ্টায় কৃতকাৰ্য্য হন, তাহারা অামাদের সমধিক কৃতজ্ঞতা ভাজন ; এবং এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশই প্রকৃতির প্রকৃত সমালোচনা | প্রবন্ধগুলির বিশেষ করিয়া সমালোচনা করিতে যাওয়া আমাদের পক্ষে ধৃষ্টত মাত্র – কেননা আমরা বৈজ্ঞানিক নহি । তবে এই মাত্র বলিতে পারি, প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনের স্তায় প্রবন্ধগুলিতে লেখকের নির্বাচন কৌশল প্রকাশ পাইয়াছে, বঙ্গবাসীর প্রকৃতিতে বিজ্ঞানের প্রতি প্রীতিকারিতা বৃদ্ধির