সৌন্দর্য্য-তত্ত্ব সৌন্দর্য্য-বোধ মানবজীবনের সহিত ঘনিষ্ঠভাবে বিজড়িত। সৌন্দৰ্য্য উপভোগের ক্ষমতা মানবজীবনের প্রধান সম্পত্তি । কেবল যে কবিনামধেয় সম্প্রদায়বিশ্যেই সৌন্দর্যমধুর অন্বেষণে ভ্রমরবৃত্তি হইয়া জীবনপাত করিতেছে, তা নিরপেক্ষ ভাবে বলা চলে না। কেননা, জগৎ হইতে । তাহার সৌন্দৰ্য্যটুকু কোনরূপে হরণ করিতে পারিলে সম্পূর্ণ কাব্যরসবর্জিত বিষয়ী লোকদিগের জন্যও দাঁড় কলসী সংগ্রহ করা দুঃসাপা হইয় উঠে । সাংসারিক নিত্য সুখদুঃখের সহিত সৌন্দৰ্য্যতৃষ্ণার এমন প্রগাঢ় সম্পর্ক যে, বোধ করি, মনুষ্যমাত্রেরই জীবনকাহিনী বিশ্লেষণ করিলে সেই তৃষ্ণার সফলতার বা নিষ্ফলতার পরিচয় পাওয়া যায় । মনুষ্যমাত্রেরই জীবনকালে এমন একটি মুহূৰ্ত্ত আইসে, যখন সে সুদূর বন প্রদেশ হইতে সায়ংকালীন বংশীধ্বনি কর্ণাগত করিয়া চন্দ্রাপীড়ের ঘোড়ার মত সেই অনির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি দিগ্বিদিক পথে ছুটিতে থাকে, এবং হয়ত শেষ পর্য্যন্ত তাহার উদ্ভাস্ত জীবন চরম লক্ষের ঠাহর না পাইয় নিয়ন্তবশে কোনরূপ অচ্ছেদ সরোবরের সলিলতলে সমাধি লাভ করে । সৌন্দর্য্যপিপাসা মনুষ্ণুত্বের অঙ্গ বলিয়া নির্দেশ করি ; এবং যাহার সৌন্দর্য্যপিপাসা নাই, তাহার মনুষ্যত্বের প্রকোষ্টে পৌছিতে এখনও বিলম্ব আছে, অক্লেশে এরূপ ও নির্দেশ করিতে পারি। নীরব বনস্থলীতে, জ্যোৎস্নামাত শিলাতলে, মহাশ্বেতার সহিত উপবিষ্ট হইয়া অতীতের কাহিনী শুনিতে শুনিতে চন্দ্রকরাহত হইয়া মরিতে එ.
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।