পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌন্দৰ্য্য-তত্ত্ব \වද উপস্থিত হয় । ইহাতে মানুষের লাভ কি ? মানুষ এমন করে কেন ? মনুষ্যের এ প্রবৃত্তি কোথা হইতে শু কি উদ্দেশ্যে ? কিসেই বা ইহার পরিণতি ? বস্তুতই কি জগতের দুইটা ভাগ ?" একটা ভাগ সুন্দর, আর একটা ভাগ কুৎসিত ? শুধু মানুষের পক্ষে নহে, মানুষ ভিন্ন অপর জীবের পক্ষেও সেক্টরূপ ? শুধু মানুষ আর অপর জীব কেন, মানুষ ও ইতর জীবের সম্পর্ক ছাড়িয়া যদি প্রকৃতির কোনরূপ নিরপেক্ষ সত্ত৷ থাকে, তবে সেই নিরপেক্ষ অস্তিত্বের পক্ষেও সেই রূপ ? উপস্থিত প্রবন্ধে এই প্রশ্ন কয়টির যথাসাধ্য আলোচনা করা যাইবে । স্থল স্বশ্ন হিসাবে সমুদায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে দুইটা ভাগ করিতে পারা যায়। এইরূপ শ্রেণীবিভাগের পূৰ্ব্বে সৌন্দৰ্য্য শব্দটার অর্থ একটু বুঝা উচিত। উপরে যে সংজ্ঞা দিয়াছি, মোটের উপর তাহাতেই কাজ চলিতে পারে । মকুষ্যের মন যেটাকে টানিয়া রাথিতে চায়, যাহাতে সুখের অনুভব করে, সুখ বল, তৃপ্তি বল, আরাম বল, আনন্দ বল, এই রকম একটা অনুভব যাহার সংস্পর্শে উৎপন্ন হয়, তাহাই সুন্দর। আর মন যাহা হইতে দুরে থাকিতে চায়, দুঃখ, ঘৃণা, ক্লেশ, বা তাদৃশ কোনরূপ অনুভব যাহার পরিণাম, তাহাই কুৎসিত । সুতরাং সৌন্দর্যের সহিত সুখের ও কুৎসিতের সহিত দুঃখের সম্বন্ধ । আবার সুখপ্রাপ্তির ও দুঃখপরিহারের অধ্যবসায় ও ধারাবাহিক চেষ্টাকেই যদি জীবন বল, তাঙ্গ হইলে সৌন্দর্যপিপাসা জীবনের ভিত্তি হইয়। দাঁড়ায়। এই সৌন্দর্য্যের খানিকটা স্থল, খানিকট স্বক্ষ। মধুর রস, মধুর গন্ধ, মধুর শব্দ, মধুর স্পৰ্শ, ও মধুর দর্শনে সঙ্গে সঙ্গে যে তৃপ্তি জন্মে, মনুষ্যমাত্রই তাহ প্রায় সমভাবে সমপরিমাণে উপভোগ করিতে সমর্থ ; এই সকল মধুর তৃপ্তিকে স্থলের মধ্যে ফেলা যায়। স্বপাদ্য ভোজনে প্রায় সকলেরই সমান তৃপ্তি জন্মে ; ইহাতে বড় মতভেদ দেখা যায় না । মনুষোতর জীবও নুনাধিক পরিমাণে এই তৃপ্তির ভাগী ;