সৌন্দর্য্য-তত্ত্ব ৩৭ জীবিকার্জনের প্রতিকূল বলিয়াই বরং বোধ হয় । ইংরেজিতে যাহাকে আর্ট বলে, এই স্বক্ষ সৌন্দর্ঘ্যের স্বষ্টি ও প্রকাশই তাহার অবলম্বন ও বিষয় । এবং মানবমনের যে অংশটা ইহাকে আশ্রয় করিয়! থাকে, তাহার ইংরেজি নাম ঈস্থেটিক বৃত্তি । জীবিকার সহিত কোন সম্বন্ধ নাই বলিয়াই এষ্ট বৃত্তিটা কিরূপে ও কি উদ্দেশুে জন্মিল, ভাল বুঝা যায় না । এষ্ট সৌন্দর্য্যই বর্তমান প্রবন্ধের বিষয়ীভূত । প্রথমে এই প্রশ্ন আইসে, এই সৌন্দর্য্য কিসের ধৰ্ম্ম ? ইহ কি বস্তুবিশেষেরই প্রকৃতিনিহিত ধৰ্ম্ম, অথবা মকুষ্যের মনেরই একটা স্বষ্টি, কল্পনা বা কারিগরি ? অর্থাৎ, যাহাকে সুন্দর বলি, তাঙ্গার প্রকৃতিগত কোন বিশিষ্টত নাই, আমরা তাহাতে সৌন্দর্য আরোপ করি মাত্র ? বস্ততঃ এমন দেখা যায়, শুাম যাহার সৌনর্য্যে মুগ্ধ, রাম তাহাতে সৌন্দর্য্যের কণিকামাত্র দেখেন না । আমার নিকট যাহা সুন্দর, তোমার কাছে হয় ত তাহা কুৎসিত । মদম্রাবী হস্তীর শুণ্ডাস্ফালন দর্শনে অথবা গিরিগুহার অভ্যস্তরে কীচকধবনি শ্রবণে কালিদাস যে আনন্দ অনুভব করিতেন, তাঙ্গতে যে সকলেই সহানুভূতি দেখাইবেন, এইরূপ প্রত্যাশা করা যায় না। আবার সৌন্দর্য বিষয়ে মনুষ্যের রুচিগত তারতম্য ফেলিবার নহে । উজ্জয়িনীর রাজপথে তামাস উপস্থিত হইলে কালদাসের নয়ন তামাসা ফেলিয়া পুশ্বস্থ সোধবাতায়নের প্রতি উদ্ধমুখে ধাবিত হইত ; স্নানাস্তে আদ্র বসন যুবতার সন্দষ্টবস্ত্র অবয়বের প্রতি তাহার তীক্ষু দৃষ্টি ছিল ; এবং তাহার মানসলোচন জলদময়ী তিরস্করিণীর আবরণ ভিন্ন করিয়৷ গুহাস্তিতা কম্পুরুষাঙ্গণার নগ্নদেহের দিকে বিবৰ্ত্তিত হচত । আবার বিশ্বাসঘাতক নিষ্ঠুর সংসার কর্তৃক পরিত্যক্ত মানসিক উপপ্লবে উদ্ভ,াস্ত জরাক্রান্ত অসহায় রাজা লীয়রকে আঁধারে প্রাস্তরমধ্যে ততোধিক বিশ্বাসঘাতক ও নিষ্ঠুর জড় প্রকৃতির উপপ্লবে উৎপীড়িত দেখিয়া জগৎ-রূপী পেষণযন্ত্রের আবর্তনপ্রণালীর উদ্দেশু্যের ঠাহর না
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।