পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জিজ্ঞাসা * سامانه পাইয়া বিস্মিত ও স্তম্ভিত হইবার ক্ষমতা যে সকলের জন্মিয়াছে, তাহা বলা যায় না । - - স্বতরাং সুন্দরের সৌন্দর্য যে, তাহার স্বভাবসিদ্ধ প্রকৃতিগত ধৰ্ম্ম, তাহা সকল সময়ে বলা চলে না । যিনি সৌন্দৰ্য্য ভোগ করিবেন, তাহার অনুভূতির তীক্ষতার উপরে সৌন্দর্য্যের মাত্রা নির্ভর করে । অমুক পদার্গ টাকে সুন্দর বলিবার আমার যে পরিমাণ দাওয়া আছে, তোমার ও কুৎসিত বলিবার সেই পরিমাণ দাওয়া আছে । তুমি যদি কুৎসিত দেখ, কাহার ৪ সাধ্য নাই যে প্রতিপন্ন করিতে পারেন, উহা সুন্দর । আমার নিকট উঠা যে অর্গে সুন্দর. তোমার নিকট ঠিক সেই অর্থেই উহা কুৎসিত। এ বিষয়ে তোমাকে বাধ্য করিবার কোন আইন নাই । তথাপি দেখা যায়, কতকগুলি পদার্থ এমন আছে, যাহারা সুস্থপ্রকৃতি মানুষের অধিকাংশের নিকটেই সুন্দর বলিয়া গৃহীত হয় । যেমন পার্থী, প্রজাপতি, ফুল। প্রশ্ন এখন এই,-কি গুণে ইহারা সুন্দর ; ইহাদের সৌন্দর্যো আমাদের লাভ কি ? প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া বড় সহজ নহে। দর্শনশাস্ত্রের ইতিহাস খুলিলেই পঞ্চাশ রকম সৌন্দর্য্যতত্ত্বের বিশ পাতা বিবরণ পাওয়া যায় ; কিন্তু তার মধ্যে একটাও তৃপ্তিকর নহে । আজকাল আমাদের একটা রোগ জন্মিয়াছে, কোন একটা কিছু উৎপতির ও অভিব্যক্তির ব্যাখ্যা দরকার হইলেই তৎক্ষণাং ডারুইনের কাছে ছুটিয়া যাই । কিন্তু ডারুইনও আপাততঃ এখানে বড় ভরসা দেন না । প্রাকৃতিক নৰ্ব্বাচনের মূল স্বত্র একটামাত্র কথা । যাহা জীবিকার উপযোগী, যাহাতে কোন না কোন রূপে জীবনের সাহায্য করে, তাহাই প্রকৃতিকর্তৃক নিৰ্ব্বাচিত হইয় অভিব্যক্ত ও পরিপুষ্ট হয় । কিন্তু উপরে দেখিয়াছি, স্বল্প সৌন্দর্যের সহিত জীবনযাত্রার সম্বন্ধ বিশেষ কিছু নাচ । কেন না, সাংসারিক বিষয়ে কাব্যরসপিপাসু বড় দুর্ভাগ্য জীব । মলয়ানিলের প্রতি