পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌন্দৰ্য্য-তত্ত্ব v'); অনুরাগ প্রচও গ্রীষ্মের সময় জীবনবৰ্দ্ধনের উপযোগী হইতে পারে, কিন্তু কোকিলকুজনে মুগ্ধ না হইতে পরিলে কিবা শীতে কি বসন্তে কোন কালেই কোন ক্ষতিবৃদ্ধি দেখি না । - ডারুইন বলেন ফুলের রূপ ও প্রজাপতির রূপ প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনে উৎপন্ন । প্রজাপতি পুষ্প হইতে পুষ্পাস্তরে পরাগরেণু বহন করিয়া পুষ্পিত বৃক্ষের বংশরক্ষা ও জাতিরক্ষা করিয়া থাকে । ফুলের রঙে ও রূপে প্রজাপতি আকৃষ্ট হয় ; তাই যে ফুলের যত রূপ, তাহার বংশরক্ষা পক্ষে ততই সুবিধা । কাজেই সুন্দর ফুলের ক্রমশঃ অভিব্যক্তি ঘটিয়াছে । আবার নিরীহ প্রজাপতির শক্রসংখ্যা অনেক ; এই সকল শত্রুর সৌন্দর্য্যবৃত্তি এমনই অপরিস্ফুট যে, এতটা মূৰ্ত্তিমান সৌন্দর্যাকে একেবারে উদরসাৎ করিবার জন্য ইহারা অত্যস্ত লালায়িত ; এবং এই সকল শক্ৰদের সহিত সম্মুখ সমরে ট্রাডানও দুৰ্ব্বল প্রজাপতির পতঙ্গ-জীবনের পক্ষে বিশেষ আশাপ্রদ নহে । তাই প্রজাপতি ফুলের গায়ে গা দিয়া, ফুলের সঙ্গে মিশিয়া, ফুলের রূপের ভিতর নিজের রূপ লুকাইয়া, শক্ৰকে ফঁাকি দিয়া কথঞ্চিৎ আত্মরক্ষা করে । কাজেই ফুল একদিকে যেমন সুন্দর, প্রজাপতির কোমল দেহও তেমনি অদ্যদিকে সুন্দর হইয়া দাড়াইয়াছে। এই হিসাবে ফুলের রূপের স্বষ্টিকর্তা প্রজাপতি, প্রজাপতির সৌন্দর্যের স্বষ্টিকৰ্ত্ত ফুল। উভুয়ে উভয়ের রূপরাশি ক্রমেই ফুটাইয়া তুলিয়াছে । উভয়ে উভয়ের সৌন্দর্য্য ফুটাইয়াছে, স্বীকার করিতে পারি। কিন্তু আমরা যেমন ফুলের সৌন্দর্য্যে • মুগ্ধ হই, প্রজাপতিও যে তেমনি রূপমুগ্ধ হইয়া আকৃষ্ট হয়, এতটা স্বীকার করিতে পারি না । ফড়িং জাতির সৌন্দৰ্য্যবৃত্তির এতটা তীক্ষতাস্বীকার বড়ই কঠিন । ফড়িং জাতি একঘেয়ে শাদা কালোর চেয়ে রঙের বৈচিত্র্য দেখিয়া আকৃষ্ট হয়, তা সে রঙ লবক সাহেবের কাচেই থাকৃ, আর কেরোসিন দীপের