সৌন্দর্য্য-তত্ত্ব 8 ☾ তাহার তত মুখের দরকার ; না হইলে তাহার জীবন চলে না ; মোটের উপর সে তত সুখ খুজিয়া পায় । দুঃখের অনুভূত যাহার তীক্ষু, তাহার নাম কবি ; কাজেই মোটের উপর কবির মুখের অনুভূতিও প্রবল । সুখের জন্য যে কতকগুলা সামগ্ৰী জগতের মধ্যে নির্দিষ্ট আছে, তাহা নহে । অমুক অমুক পদার্থগুলাই মুখ দিবে, সুন্দর দেখাইবে, এমন কোন বিধান নাই । মানুষ সম্মুখে নাহা পায়, তাহা হইতে সুখ টানিয়া তা নিলে চষ্টা করে । দ্রব্যান্দ্রেব্য বিচার করে না ; যেখানে সেখানে, যখন তখন, সুখের আবিষ্কার করে ; কতকগুলা পদার্থ আছে বটে, যাহাতে সাধারণ মানুষমাত্রেই কিছু না-কিছু মুখ পায়, কিছু-না-কিছু সৌন্দর্য দেখে ; উপরে তাহদের উল্লেখ করিয়াছি । এই পদার্থগুলা কোন-না-কোন রূপে জীবনরক্ষার পক্ষে অনুকুল, আশাপ্রদ । কিন্তু ব্যক্তিবিশেষের পক্ষে এ সাধারণ নিয়ম খাটে না । তাহদের সুখের বড়ই দরকার ; তাই বাহা তাহা, যে সে পদার্থ হইতে তাহারা সুখ আকর্ষণ করে । তাহা জীবনের উপযোগী কি জীবনের অন্তরায়, তাহা বিচার করিবার অবকাশ পায় ন| বিনা বিচারে তাহাকে মনের মত গড়িয়া লয়, তাহাতে সৌন্দয্যের স্বষ্টি করে । জীবনেই পথে চলিতে চলিতে দুচোখে যাহা দেখে, তাহাই রঙিল চশমা পরিয়া রঙিল করিয়া দেখিয় লয় ; কেন না সৌন্দর্য্যই তাহার পক্ষে । অবশুক ; বিশুদ্ধ সৌন্দর্য্যই তাঁহার অবলম্বন ; বিশুদ্ধ মুখই তা রে লক্ষ্য । যাহা বুঝিতে পারে, তাহাতে আনন্দ পায় ; যাহা বুঝে না, তাহাতে আনন্দ পায় ৷ . অনুেক সময় যাহা বুঝা যায়, তার চেয়ে যাই। বুঝা যায় না, তাহাতে আনন্দ বেশী হয় । স্থল হিসাবে এটা সমস্যা । বিজ্ঞানবিং জগৎযন্ত্রের জটিলতা উদঘাটন করিয়া যতই কাৰ্য্যকারণ-শৃঙ্খলার আবিষ্কার করেন, অবিস্কৃত নিয়ম-প্রণালীকে যতই মনুষ্যজীবনের সহায় করিয়া তুলেন, এক কথায় জগতের রহস্তকে যতই বুঝিতে চেষ্ট করেন
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৫৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।