পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌন্দর্য্য-তত্ত্ব 8ግ (১) জীবের মধ্যে মনুষ্য স্বক্ষ সৌন্দৰ্য্য-ভোগে অধিকারী । (২) সকলের আবার সৌন্দৰ্য্যপিপাসা ও সৌন্দর্য্য-ভোগ-শক্তি সমান নহে। ইহা অপেক্ষাকৃত উন্নত জীবনের লক্ষণ । - (৩) বৈচিত্র্যের সমাবেশে ও পরম্পরায় চৈতন্তের অস্তিত্ব । সুতরাং চেতনের নিকট এরূপ বৈচিত্রের আদর, ও যাহা বিচিত্র, চেতনের নিকট তাহা সুন্দর । (৪) কতকগুলি পদার্থ কোন না কোন রূপে জীবনের ও স্বাস্থ্যের অমুকুল । কতিপয় পদার্থ জীবনসমরে ভীতি ও নৈরাপ্ত দুর করিয়া আশ ও প্রফুল্লতা আনে। ইহারা সুন্দর । কতকগুলি পদার্থ মুখ্য ভাবে বা গৌণ ভাবে জাতীয়জীবনের বা সমাজজীবনের অমুকুল, সমবেদনার ও পরার্থ বৃত্তির উদ্দীপক । ইহারাও সুন্দর। (৫) কিন্তু অনেক্লস্থলে ব্যক্তি-জীবন বা জাতীয় জীবনের স্থিতি বা পুষ্টি বিষয়ে কোনরূপ আনুকুল্য করে না, অথচ অনেকের নিকট সুন্দর, এমন পদার্থ দেখা যায় । ইহারা সুন্দর কেন, স্থির করা তুষ্কর । (৬) মানুষের অভিব্যক্তির সহিত দুঃখবৃত্তি ফুটিয়া আসিতেছে । নিজের জন্ত শঙ্কা ও পরের জন্ত শঙ্কা ইহার মূল | এই দুঃখবৃত্তি ব্যক্তিজীবন রক্ষার ও জাতীয় জীবন রক্ষার অমুকুল । মনুষ্যপর্য্যায়ে যে যত উন্নত, দুঃথভোগ ঘটে তাহার তত বেশী । প্রমাণ রামায়ণ । (৭) দুঃখের উৎপত্তির সহিত সুখের উৎপত্তি ন ঘটিলে মনুষ্যজীবন বা উন্নত মনুষাজীবন টিকিত না । তাই যেখানে সেখানে সুখ কুড়াইয়া পাইবার ক্ষমতু মানুষের জন্মিয়াছে । কোথা সুখ পাইবে, কোথা পাইবে না, তাহার লক্ষণ নির্দেশ করা সৰ্ব্বত্র চলে না । যেখানে সুখ বা আনন্দ পাওয়া যায়, তাহাই সুন্দর । সাধারণতঃ যাহাদের দুঃখানুভদ্বশক্তি প্রবল, তাহারাই অধিক সুন্দর জিনিষ দেখিতে পায় । দুঃখের দ্যায় সুন্দর সামগ্ৰী বোধ করি দ্বিতীয় নাই ।