Q o জিজ্ঞাসা কথায়, আত্মা রহিয়া যায় ; দেহ আত্মার পরিধেয় বসনের মত পরিত্যক্ত হইয়া থাকে। অস্তিত্ব, অবিনাশিত্ব ও দেহান্তরাশ্রয় ( পুনর্জন্মগ্রহণ ), আত্মার এই তিনটি লক্ষণ এই উক্তিতে স্বীকৃত হইয়াছে | আত্মা মনুষ্যদেহ ভিন্ন অন্ত দেহও ধারণ করিতে পারে ; স্থতরাং মনুষ্যেতর জীবেও আত্মা বর্তমান । আত্মার নাশ নাই ; তবে ইহা পুনরায় জন্মগ্রহণ অথবা দেহান্তরাশ্রয় হইতে কোনরূপে নিস্কৃতি লাভ করিতে কখন কখন সমর্থ হয় । তাহাকে নাশ বলা যায় না ; তবে নিৰ্ব্বাণ বা মোক্ষ এইরূপ কোন অভিধান দেওয়া যাইতে পারে । নিৰ্ব্বাণ ব; মোক্ষ কিরূপ, তাহার সম্বন্ধে পণ্ডিতগণমধ্যে মতভেদ আছে । জীবনকালে অনুষ্ঠিত কৰ্ম্মানুসারে মৃত্যুর পর আত্মা কখনও স্বৰ্গনরক ভোগ করে ও কখনও বা দেহান্তর গ্রহণ করে, হিন্দু জাতির প্রচলিত বিশ্বাস এই রূপ । উল্লিখিত হিন্দুশব্দে সাধারণ হিন্দু বুঝিয়াছি । হিন্দু দার্শনিক এই হিন্দুশব্দবাচ্য নহেন । হিন্দুর ন্তায় খ্ৰীষ্টানাদিও আত্মার অস্তিত্ব ও অনশ্বরত্ব স্বীকার করেন । তবে তাহারা আত্মার দেহান্তরাশ্রয় বপুনর্জন্মগ্রহণটা বোধ করি স্বীকার করেন না, এবং মনুষ্য ভিন্ন ইতর জীবকে আত্মার অধিকার করিতে চাহেন না | ইহঁদের মতে আত্মা মৃত্যুর পর নিরাশ্রয়ভাবে কোনও না কোনও রূপে শেষবিচারদিনের প্রতীক্ষায় রহে। বিচারশেষে কৰ্ম্মানুসারে স্বর্গে বা নরকে প্রেরিত হইয়া সুখদুঃখভাগী হইতে পারে। মোক্ষ বা নিৰ্ব্বাণ শুনিলে ইহার রাগিয়া উঠেন, এবং তাহাকে * ধ্বংসেরই রূপান্তর বলিয়া নির্দেশ করেন ।
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।