আত্মার অবিনাশিত] ○ > যাহাই হউক, হিন্দু ও অহিন্দু উভয়ের মধ্যে মোট কথা কয়েকটাতে মিল আছে। দেহ ছাড়া আত্মা বলিয়া একটা কিছু আছে ; সেটা দেহাস্তেও রহে ; এবং তাহার অন্ত পরিচয় না জানিলেও এইটুকু তাহার সম্বন্ধে বলা যাইতে পারে যে, সুখদুঃখভোগটা তাঁহারই নিজস্ব অধিকার। আত্মীর অস্তিত্ব সম্বন্ধে ও প্রকৃতি সম্বন্ধে বিচার আবশুক । বিচারে যুক্তিমাৰ্গই আমাদের আশ্রয় ; সম্প্রদায়বিশেষের নিকট, বিশেষতঃ খ্ৰীষ্টানদের নিকট, একটা শাস্ত্রবর্হিভূত যুক্তির পন্থা শুনিতে পাওয়া যায়, এস্থলে তাহার একবার উল্লেখ আবশুক । ইহার এইরূপ বলেন, দেহ ব্যতীত মানুষের আর কিছুই নাই, এ বড় ভীষণ কল্পনা । দেহ ফুরাইলে সব ফুরাইল, মনে করিলে দুঃখের দুঃসহত ও মরণের বিভীষিক আরও দুঃসহ ও ভীষণ হইয়া দাড়ায় । মামুষের পক্ষে সাস্বনা আর কিছুই থাকে না । অতএব যে ব্যক্তি বলে, দেহ ছাড়া আত্মা নাই, সে মনুষ্যজাতির শক্র । আবার আত্মা অস্বীকার করিলে পাপের নিষেধক ও পুণ্যের উদ্বোধক বিশেষ কিছু থাকে না । একরকমে দিন কয়টা কাটাইতে পারিলেই যেখানে ফাকি দেওয়া চলে, সেখানে পাপপুণ্য লইয়। হাঙ্গামা চলে না । সুতরাং যে ব্যক্তি আত্মার । অস্তিত্ব অস্বীকার করে, সে পামর ও পাপিষ্ঠ ও সমাজদ্রোহী । মরিয়া গেলে সব ফুরাইবে, মানুষের মন কি তাছা চায় ! তোমার অন্তরাত্ম কি বলে ? e এইরূপ বিচারপ্রণালী যুক্তির অপলাপমাত্র । মৃত্যুর পর সব ফুরাইবে, স্বীকার করিক্তে তামার কষ্ট হইতে পারে ; এবং সেরূপ স্বীকারে সমাজের অনিষ্ট ঘটিতে পারে। কিন্তু এইরূপ যুক্তি দ্বারা সত্যনির্ণয়ের চেষ্টা ঘোরতর দুঃসাহসের পরিচয় । সত্য কাহারও ইষ্টানিষ্টের অপেক্ষী রাখে না । যাহারা আপন মত কোন না কোন উপায়ে প্রতিষ্ঠিত দেখিতে
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৬০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।