আত্মার অবিনাশিত। QS) জিনিষের জন্ত যদি আপন ইচ্ছামত বিভিন্ন নাম ব্যবহার করেন, তাহ হইলে মানুষে মানুষে কথাবাৰ্ত্তা, ভাববিনিময় চলে না ; বিচার ত চলেই না । সেই জন্ত নাম লইয়া বিবাদ না করিয়া সকলে কতিপয় নির্দিষ্ট সংজ্ঞা মানিয়া লইলে সকলেরই সুবিধা হয়। অনেক সময়ে সংজ্ঞায় ও স্বতঃসিদ্ধ সত্যে একটু গোল উপস্থিত হয় । অনেক সময় আমরা যাহাকে স্বতঃসিদ্ধ সত্য বলিয়া মনে করি, প্রকৃত পক্ষে তাহ সংজ্ঞামাত্র । একটা উদাহরণ লওয়া যাউক । ইউক্লিডের জ্যামিতিশাস্ত্রে একটি স্বতঃসিদ্ধের উল্লেখ আছে ; জুংশের অপেক্ষ। পুর্ণ বৃহৎ । আপাততঃ ইহা স্বতঃসিদ্ধ সত্য বলিয়া বোধ হয় ; অংশের অপেক্ষ পূর্ণ বড় হইবেই ; কে ইহা অস্বীকার করিবে ? যে অস্বীকার করিলে, সে পাগল । কিন্তু বস্তুতঃ ইহা স্বতঃসিদ্ধ সত্য নহে ; তহ সংজ্ঞামাত্র। পূর্ণ অপেক্ষ যাহা ছোট, তাহাকেই আমরা অংশ এই নাম বা এই সংজ্ঞা দিয়া থাকি । অংশের অপেক্ষ যাহা বড়, তাহাকেই পূর্ণ আখ্যা দিয়া থাকি । এষ্ট নাম দেওয়া আমার ইচ্ছাধীন । ইহা একটা ভাষার খেয়াল মাত্র । যদি গাছকেই আমরা অংশ নাম দিতাম, আর ডালকে পূর্ণ আখ্যা দিতাম, তাহ হইলে পূর্ণ অংশের চেয়ে ছোট হঠয়া যাইত । কিন্তু আমরা বড় গাছকেই পূর্ণ বলিয়া থাকি, ছোট ডালকেত তাহার অংশ বলি । কেন বলি ? একটা কিছু ত বলিতেই হইবে ; পূৰ্ব্ব পিতামহেরা, যাহারা ভাষার স্বষ্টি করিয়াছিলেন বা ভাষা প্রথম ব্যবহার করিয়াছিলেন, তাহার এরূপ নাম দিয়াছিলেন ; তাহদের প্রদত্ত নাম, তাহদের প্রদন্ত সংজ্ঞা, তাহীদের ব্যবহৃত ভাষা, আমরা সকলে নিৰ্ব্ববাদে গ্রহণ করিয়া আসিতেছি, এই মাত্র । অতএব, পূর্ণ অংশের চেয়ে বড়, ইহা স্বতঃসিদ্ধ সত্য নহে ; ইহা পূর্ণ ও অংশ এই দুইটি শব্দের সৰ্ব্বজনস্বীকৃত অর্থ হইতেই স্বীকার্য্য । হাত প। শরীরের অংশ, ইহা স্বতঃসিদ্ধ সত্য নহে ; ইহা শরীরের ইচ্ছাদত্ত সংজ্ঞা হইতে > t >
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।