পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মার অবিনাশিত। ○" একটা কিন্তুতকিমাকার অস্তিত্ব অথবা নাস্তিত্ব দাড়াইত। মনে কর, চিন্তা" নাই, ভাবনা নাই, ভয় নাই, আনন্দ নাই, সুখ নাই, দুঃখ নাই, ভ্ৰাণ নাছ, স্পর্শ নাই, শ্রবণ নাই, কেবল আধার আর আঁধার আর আধার, অথবা আলো আর আলো আর আলো, অথবা নীল তার নীল আর নীল—কেবলই নীল, অথবা পীত আর পীত আর পী ত—কেবলই পীত । এইরূপ একাকার অস্তিত্বে ও নাস্তিত্বে তফাত করা আমাদের বুদ্ধতে আইসে না । অর্থাৎ সকল জ্ঞান ও সকল অনুভূত একাকার হইলে আমার . জ্ঞান রাশি হয় ত থাকত ও আমিও হয়ত থাকি তাম । কিন্তু আমার বা আমার জ্ঞানের অস্তিত্ব নিরূপণের উপায় কিছু থাকত না । যদি কিছু থাকত, তাহা আমাদের বর্তমান বুদ্ধির সুতরাং বিচারপ্রণালীর অতীত । ফলে, এইরূপ অস্তিত্ব আর নাস্তিত্ব, একই রকম কথা । আবার মনে কর, জ্ঞানে জ্ঞানে কোন সাদৃশু নাই। প্রত্যেক অনুভূতিই অপর অনুভূতি হইতে সম্পূর্ণরূপে ও সৰ্ব্বাংশে বিসদৃশ । একবার যাহা অনুভব হইল, তাহাকে তার দ্বিতীয়বার পাওয়া যায় না । প্রতীতিমধ্যে পরস্পর কোন মিল নাই, সুতরাং কাহাকেও চিনিয়া লহবার উপায় নাই । কাহার ও অস্তিত্বের পরিচয় দিবার যো নাই । এরূপ স্থলে সংজ্ঞাম এ অসম্ভব, পরিচয়মাত্র অসম্ভব হইয়া দাড়াহত । এরূপ ক্ষেত্রেও মস্তিত্বে ও নাস্তিত্ব ভেদ করবার শক্তি আমাদের থাকিত না । এইখানে একটু সাবধান হইতে হইবে । পথ এমনই পিচ্ছিল যে পদে পদে পদস্থলনের সম্ভাবনা । গাছ দেখিতেছি, বলিলে একটা বিশেষ লক্ষণযুক্ত বোধের অস্তিত্বই প্রমাণ করে, বোধের বাহিরে তাহার কারণস্বরূপ কোন পদার্থের স্বাধীন অস্তিত্ব স্বতঃ প্রতিপন্ন করে না । আর এইটুকু প্রমাণ করে, যে পূৰ্ব্বে পূৰ্ব্বে এইরূপই একটা বোধ জন্মিয়াছিল,