পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মার অবিনাশিত ৫৯ বা চৈতন্তের ধারা । এই প্রতীতি আছে, তাই যাহাকে চৈতন্ত্য বলি, তাহা আছে ; এই প্রতীতি না থাকিলে জ্ঞান থাকিতে পারিত, কিন্তু সেই জ্ঞানের অস্তিত্ব আমরা জানিতে পারিতাম না, অর্থাৎ চৈতন্ত থাকিত না । গাঢ় স্বপ্নহীন স্বযুপ্তির অবস্থায় জ্ঞান আমাদের থাকিতে পারে, অথবা থাকিতে না পারে ; কিন্তু জ্ঞানের অস্তিত্ব তখন বুঝিতে পারি না, অর্থাৎ তখন চেতনা থাকে না । যতক্ষণ চেতন থাকে, ততক্ষণ জ্ঞানের অস্তিত্বের উপলব্ধি হয়, অর্থাৎ ততক্ষণ বর্তমান জ্ঞানকে আর পাঁচটা জ্ঞানের সদৃশ অথবা বিসদৃশ • বলিয়া বুঝিয়া লই ; জ্ঞানসমূহের একটা ধারাবাহিকত অনুভব করি । এবং এরূপ কি বলা চলে না যে এই কোথাও কিয়দংশে সদৃশ রূপে ০ কোথাও কিয়ংশে বিসদৃশরূপে প্রতীত এই জ্ঞানসমূহের যে সমষ্টি, তাহারাষ্ট নাম অথবা ‘অভিধান’ অথবা সংজ্ঞাই “আত্মা’ অথবা ‘আমি ? এই অর্থে আমি আছি ও আমার আত্মা আছে । ইহা স্বীকার্য্য । ইহ স্বতঃসিদ্ধ। অন্ত অর্গে আত্মা আছে কিনা, তাহা পি চার্য্য এবং এই অর্থযুক্ত আত্মা ছাড়িয়া আর কিছু কোথাও আছে কিনা, তাহা ও বিচার্যা । মূল যে কয়েকটি স্বতঃসিদ্ধ প্রমাণনিরপেক্ষ প্রমাণাতীত সত্য স্বীকার করিয়া লওয়া গেল, তাহার অতিরিক্ত অন্ত কিছুর অস্তিত্ব স্বীকার আবগুক রুিন, অথবা এই কয়টি মূল স্বতঃসিদ্ধের সহিত কতকগুলি হাতগড় সংজ্ঞা যোগ করিলেই বিশ্বজগতের সমস্যাট এক রকম বুঝা যাইতে পারে কি না, তাহা ও বিচাৰ্য্য । সাদৃশুবুদ্ধি ও ভেদবুদ্ধির কথা বলিয়াছি। এই সাদৃশুবুদ্ধি ও ভেদবুদ্ধি নানাবিধ ওঁ নানাকার । যেমন দৃষ্টিজ্ঞান ও স্পৰ্শজ্ঞান দ্বিবিধ প্রত্যয় । দৃষ্টিজ্ঞানের মধ্যে আবার বর্ণজ্ঞান ও আকৃতিজ্ঞান । বর্ণজ্ঞানের ভিতর আবার নীলঙ্কান, পীতজ্ঞান ইত্যাদি ৷ আকৃতির মধ্যে ত্রিকোণ চতুষ্কোণ, বৃত্ত বৰ্ত্তল ইত্যাদি বহুবিধ প্রত্যয় । এই সাদা