; আত্মার অবিনাশিত . من ভোগ তাহারই ক্রিয়া, অথবা শক্তি অথবা অলঙ্কার স্বরূপ। চলিত হিসাবে বলিলাম, কেন না বেদান্তদর্শন আর একটু স্বল্প হিসাব করিয়া বলেন, আত্মা আছে, কিন্তু আত্মার ভোক্তত্ব, কর্তৃত্ব ইত্যাদি কিছুই নাই ; উহা আমরা আত্মায় আরোপ করি মাত্র। বেদান্তের মত ছাড়িয়া দিয়া প্রচলিত মতের সহিত এই প্রবন্ধে ব্যাখ্যাত মতের প্রভেদ কতকট এইরূপে বুঝা যাইতে পারে । উপরে আমার আত্মার যে সংজ্ঞা দিয়াছি, তাহাতে আত্মার সহিত অনুভূতির যে সম্বন্ধ, তাহা কতকটা দেহের সহিত অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সম্বন্ধের মত ; অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সমষ্টি করিয়াই দেহ ; অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সমস্ত ছটিয়া ফেলিলে जैत्र দেহ থাকে না । কিন্তু প্রচলিত মত অনুসারে আত্মার সহিত অনুভূতি, জ্ঞান, চেষ্টা প্রভৃতির সম্বন্ধ, কতকট দেহের সহিত পরিচ্ছদের মত বা অলঙ্কারের মত । বসন ভূষণ অলঙ্কার সমুদয় ত্যাগ করিলেও যেমন দেহ বৰ্ত্তমান থাকিতে পারে, সেইরূপ জ্ঞান ইচ্ছা প্রভৃতি ত্যাগ করিয়াও আত্মা বর্তমান থাকিতে পারে । প্রচলিত মত এই, জ্ঞান থাকিলেই জ্ঞাত থাকিবে, ভোগ থাকিলেই ভোগী থাকিবে । এই জ্ঞাতা ও এই ভোগী যে, সেই আত্মা । শুধু জ্ঞানসমষ্টিকে বা ভোগসমষ্টিকে আত্মা বলিলে চলিবে না ; জ্ঞান ও ভোগের অতিরিক্ত একটা স্বতন্ত্র পদার্থ স্বীকার করা চাই । জ্ঞান আছে, সুতরাং জ্ঞাত আছে। প্রশ্নটা বডই দুরূহ। কিন্তু রামনামে যেমন ভূত আপনার বিভীষিকাময় কায় সঙ্কুচিত করিয়া লীন ও অস্তহিত হয়, সেইরূপ যুক্তির মন্ত্রপূত দণ্ডস্পর্শে এই প্রশ্নের উৎকটত লয় পায় । - জ্ঞান থাকিলেই জ্ঞাত থাকিবে, কে বলিল ? আমাদের এইরূপ একটা সংস্কার বা ধারণ বা কল্পনা আছে বটে ; কিন্তু সেই সংস্কার ও কল্পনার সত্যতাকেই যেখানে বিচারের বিষয় করিয়া নামাইতেছি, তখন
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।