পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মার অবিনাশিত ৬৫ বাহ জগৎ কতকগুলি খও প্রত্যয়ের সমষ্টি । সেই খণ্ডপ্রত্যয়ের মধ্যে নানাবিধ সম্বন্ধ অনুভব করি । সেই অনুভব হইতে অহংজ্ঞানের উৎপত্তি । এই সম্বন্ধ নানাবিধ । ‘ক’ ও ‘খ’ উভয়ে একটা সম্বন্ধ আছে ‘গ’ ; 'চ' ও 'ছ' উভয়ের মধ্যে আর একটা সম্বন্ধ আছে ‘জ ; আবার ‘গ’ ও ‘জ’ এই উভয় সম্বন্ধের মধ্যে একটা সম্বন্ধ আছে, সেটা "ট" । এইরূপে সম্বন্ধের সহিত সম্বন্ধ মিলাইয়া একটা নুতন সম্বন্ধ অনুভব করি। আবার তাহার সহিত আর একটা সম্বন্ধ মিলাইয়া আরও একটা সম্বন্ধ অনুভব করি । এই নুতন নুতন সম্বন্ধের অনুভবেই আত্মার বিকাশ বা অভিব্যক্তি ; ইহাতেই চৈতন্তের স্ফৰ্ত্তি। এই নূতন নূতন সম্বন্ধ অনুভব করিয়া তাহদের সংক্ষেপে সংজ্ঞা দিই । সেই সংজ্ঞাগুলি—‘প্রাকৃতিক নিয়ম ।’ আমি সম্বন্ধ অনুভব করিয়া থাকি বলিয়াই প্রাকৃতিক নিয়মের আমা হইতে উৎপন্তি । এই অনুভব না থাকিলে প্রাকৃতিক নিয়ম থাকিত না, অথবা প্রকৃতিতে কোন নিয়ম দেখিতাম না। এই অনুভূতি যত তীক্ষ্ণ ও প্রবল হয়, ততই বাহ প্রকৃতিকে নিয়মানুগত দেখি । ফলে প্রকৃতিতে নিয়ম বর্তমান আছে, একথা আমি সাহস করিয়া বলিতে পারি না ; প্রকৃতিতে নিয়ম আমি দেখিতে পাই, এই পর্য্যন্ত বলিতে পারি। সম্প্রতি আমার যে অবস্থা, তাহাতে আমি প্রকৃতির খানিকটা নিয়মানুগত দেখি, আর খানিকটা অনিয়ত ও খাপছাড়া বোধ হয় । যে অবস্থায় নিয়মবদ্ধের ভাগ বাড়িয়া আইসে ও খাপ-ছাড়ার ভাগ কমিয়া আইসে, সে অবস্থাকে আত্মার উন্নতির বা অভিব্যক্তির অবস্থা বলা যায় । এইরূপ সাদৃশু অনুভবে বা নিয়ম স্বীকারে একটা লাভ আছে, দেখা যায়। যখন এই সাদৃশু অনুভবেই আত্মবোধ বা অহংকার, তখন এই সাদৃপ্তানুভূতির স্বল্পতায় আত্মবিকাশ বুঝিতে হইবে । আমার একটা কাজ অন্তর্জগতের সহিত বাহা জগতের আদানপ্রদান। অস্তু st