Ꮤ%b~ জিজ্ঞাসা আত্মনিরীক্ষণের একটা প্রণালীমত্র । কালবুদ্ধি না থাকিলে জ্ঞানগুলি একরকমে পরস্পর জড়াইয়। যাইত, আর তাহাদিগকে পৃথকৃ পৃথকৃ করিয়া লওয়া যাইত না, সুতরাং আত্মারও আত্মবুদ্ধি অসম্ভব হইত। এই হিসাবে ও এই অর্থে আত্মা ছাড়িয়া কাল নাই । আত্মার ধ্বংস হইবে অমুক সময়ে, অথবা আত্মার ধ্বংস হইবে না কোন সময়ে, এরূপ বাক্যের অর্থ হয় না । আত্মার অস্তিত্ব স্বীকার্য্য হইতে পারে ; কিন্তু আত্মা বিনাশী কি অবিনাশী, এই প্রশ্ন অর্থশূন্ত । যাহারা জ্ঞানাতিরিক্ত জ্ঞাত ও ভোগাতিরিক্ত ভোক্তা, এইরূপ কোন একটা অৰ্গে আত্মা শব্দের ব্যবহার করেন, এবং জ্ঞান আছে ও ভোগ আছে, সুতরাং জ্ঞাতা ও ভোক্তা নিশ্চয়ই থাকিবে, এইরূপে সেই আত্মার অস্তিত্ব প্রমাণ করিতে চাহেন, তাহদের যুক্তিপ্রণালী কতকটা বিপর্য্যস্ত । জ্ঞান হষ্টতে স্বতন্ত্র জ্ঞাতা আমাদের অনুমান বা কল্পনামাত্র, তাহা কোন যুক্তি দ্বারা সিদ্ধ হয় না । তবে যদি কেহ গায়ের জোরে বলেন, জ্ঞান ও ভোগের অতিরিক্ত জ্ঞাত ও ভোক্ত একটা কিছু স্বতন্ত্র বর্তমান আছে, তাহদের সেই উক্তির পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু প্রমাণ নাই । সেরূপ একটা কিছু থাকিতে পারে ; তবে আমরা তাহার সম্বন্ধে কিছুই জানি না । আমি আছি, ইহা সত্য। এস্থলে “আমি অর্থে কি বুঝায়, ’হ উপরে যথাসাধ্য খুলিয়া বলিলাম। জ্ঞান আছে, বুদ্ধি আছে, প্রতীতি আছে, সুখদুঃখ আছে, অতএব আমি আছি । এই সকল লইয়াই আমি । এই সকল উপাদানে যাহাকে নিৰ্ম্মাণ করি, সেই অামি । এই সকল যৎ প্রতি আরোপ করি, সেই অামি । এই সকল আছে স্বীকার করিতে হয়, নতুব কিছুই থাকেন । মাধ্যমিক বৌদ্ধদের মতের অনুযায়ী শুন্তে পরিণত হয় । এই সকল অাছে, স্বীকার করিলাম। কাজেই আমি
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।