বর্ণ-রহস্য * ዓ » আমি না থাকিলে আবার কাল কি লইয়া থাকিবে ? কাল ত আমারই কল্পনা। আমি অবিনাশী বলিলে বুঝায়, আমিও থাকিব, কালও থাকিবে, কাল ব্যাপিয়া আমি থাকিৰ । সমগ্র অনন্ত ভবিষ্যৎ ব্যাপিয়া থাকিব । ইহারও তার্থ হয় না । কাল ব্যাপিয়া আমি থাকিব, এ কি কথা ? কালই আমাকে ব্যাপিয়া থাকিবে বরং সঙ্গত হইতে পারে। তাহাও সঙ্গত কিনা বিচাৰ্য্য । অক্সা বিনাশী কি অবিনাশী, এই প্রশ্ন একেবারে অর্থশূন্ত । যে প্রশ্নের অর্থ নাই, তাহার উত্তরদানের চেষ্টা মুঢ়ত । e বর্ণ-রহস্য প্রকৃতিতে আমরা বিবিধ বিচিত্র বর্ণের ধিকাশ দেখিতে পাই । এ সম্বন্ধে গোটাকতক স্থল কথা বৰ্ত্তমান প্রস্তাবের আলোচ্য। প্রথমেই এরূপ প্রশ্ন উঠিতে পারে, বর্ণ কয়প্রকার ? সাধারণতঃ বলা হইয়া থাকে, বর্ণ সাত প্রকার । এই উত্তরের একটা ভিত্তি আছে । রাম-ধনুতে আমরা বিবিধ বর্ণের বিকাশ দেখিতে পাই । সূর্য্যের আলে। একটা কাচের কলমের ভিতর দিয়া লইয়া গেলে নানা রঙ দেখা যায় । শাদ আলোক ভাঙ্গিয় তাহার মধ্য হইতে কিরূপে মৌলিক বর্ণগুলি বাহির করিতে হয়, তাহ নিউটন প্রথমে দেখাইয়াছিলেন । একটা খুব সরু লম্ব ছিদ্রের ভিতর দিয়া স্থৰ্য্যের শুভ্র আলোক লইয়া যাইতে হুইবে । পরে সেই আলোক ! একখানা তিনকোণ কাচের কলমের ভিতর চালাইলে একটা পাচ-রঙা আলো দেওয়ালের গায়ে পড়িবে । কেহ কেহ এই খানে "বলিবেন, পাচ-রঙা না বলিয়া সাত-রঙা বলাই উচিত । এই আলোর ভিতরে রক্ত, অরুণ, পীত, হরিৎ, নীল, ইণ্ডিগো ও বেগুনী
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।