পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্ণ-রহস্য අH কলমে পরিণত করিয়া শুভ্র স্বর্য্যালোককে বিবিধ অগণ্য বিশুদ্ধ বর্ণের আলোকে বিশ্লিষ্ট করিয়া থাকেন । কিন্তু চারিদিকে প্রাকৃতিক পদার্থে আমরা সাধারণতঃ যে সকল বর্ণ দেখিয়া থাকি, তাহারা বিশুদ্ধ বর্ণ নহে । এই সংখ্যাতীত বিশুদ্ধ বর্ণ সে ওয়ায় আরও সংখ্যাতীত অবিশুদ্ধ বর্ণের অস্তিত্ব আমরা সৰ্ব্বত্র উপলব্ধি করি । প্রাকৃত দ্রব্যে যে পীত, যে হরিৎ, যে নীল দেখা যায়, তাহারা প্রায়শই বিশুদ্ধ পীত, বিশুদ্ধ হরিৎ, বিশুদ্ধ নীল হয় না । কেননা উহার প্রত্যেক রঙকে কলম দিয়া বিশ্লেষণ করিলে নানা রঙ পাওয়া যতীতে পারে। আবার তদ্ভিন্ন পাটল, ধূসর, পিঙ্গল প্রভৃতি নানাবিধ বর্ণ আমরা দেখিয়া থাকি, তাহারাও বিশুদ্ধ বর্ণ নহে। স্বর্য্যালোক বিশ্লেষণ করিলে এই সকল পাটল পিঙ্গলাদি রঙ পাওয়া যায় না । এইজন্ত ইহুদিগকে অবিশুদ্ধ বলিতেছি । তবে বিশুদ্ধ বর্ণের আলো বিবিধ পরিমাণে মিশাইয়া এই সকল অবিশুদ্ধ মিশ্র বর্ণের উৎপাদন করিতে পারা যায় । কিন্তু এই পৰ্য্যন্ত বলিলে বর্ণ তত্ত্বের শেষ কথা বলা হয় না । আর ও ভিতরে যাইতে হইবে । আসল কথা, বর্ণমাত্রই, নীলই বল, আর পীতই বল, বর্ণমাত্রই কেবল আমাদের একটা উপলব্ধি বা প্রতীতির প্রকারভেদ মাত্র । শব্দ একটা জ্ঞান, তাহারও আবার সহস্র প্রকারভেদ আছে ; ভ্রাণ একটা জ্ঞান, তাহার সহস্র প্রকারভেদ আছে । সেইরূপ বর্ণ ও একটা সহস্রপ্রকারভেদযুক্ত বিশেষ রকমের জ্ঞান। ঐ খানে সবুজ রঙের গাছটা রহিয়াছে ; এইখানে আমি রহিয়াছি । সবুজ রঙটা বস্তুতঃ গাছের নহে। আমার ঐ অনুভূতি মনের মধ্যে জন্মিয় ঐখানে গাছের অস্তিত্ব আমাকে দেখাইয়া দিতেছে । আমার মনে ঐ অনুভূতিটা জন্মিতেছে ; তাহ দেখিয়া আমি অনুমান করিতেছি, যে আমার বাহিরে ঐ স্থানে ঐ গাছ পদার্থটা রহিয়াছে, যাহার অস্তিত্বের কল্পনা আমার এই অনুভূতি হইতেই উৎপন্ন। অর্থাৎ