পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፃ8 জিজ্ঞাসা ঐ অনুভূতি উৎপন্ন হইয়। আমাকে গাছের অস্তিত্বের কল্পনায় সমর্থ করিতেছে । § কিন্তু পদার্থবিজ্ঞান আরও একটু বেশী বলে । পদার্থবিদ্যা কল্পনা করে যে ঐ গাছের ও আমার দর্শনেন্দ্রিয়ের মধ্যে একটা অত্যন্ত কঠিন অথচ চক্ষুর অগোচর পদার্থ বিস্তৃত রহিয়াছে, সে পদার্থটা ঐরূপ ভাবে মাঝে না থাকিলে ওখানে গাছ থাকিলেও আমার ঐ সবুজ বর্ণের অনুভূতি জন্মিত না । সেই মধ্যবর্তী পদার্থটার ইংরাজী নাম ঈথার ; • বাঙ্গালীয় উহাকে আকাশ বলা যাইতে পারে। গাছের শরীরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা সেই আকাশে ছোট ছোট ধাক্কা দিতেছে ; সেই ধাক্কাগুলি সেই কঠিন আকাশ কর্তৃক বাহিত হইয়া ও চালিত হইয়া আমার দর্শনেক্তিয়ে আসিয়া প্রতিহত হইতেছে। এক এক ধাক্কাতে এক একটি ঢেউ জন্মিতেছে । বীণাযন্ত্রের তারে পুনঃ পুনঃ ঘ দিলে যেমন তারে ঢেউ জন্মে ; জলের পৃষ্ঠে ঘা দিলে যেমন জলে ঢেউ জন্মে ; শস্তক্ষেত্রে উর্দ্ধশীর্ষ গাছগুলির শীষে ও পাতায় বাতাসের ধাক্কা লাগিয়া যেমন ঢেউ জন্মে, কতকটা সেইরূপ । পদার্থবিজ্ঞান কেবল এইটুকু বলিয়াই নিরস্ত হয় না । সেই ঢেউগুলির দৈর্ঘ্য কত, ধাক্কা মিনিটে কতবার পড়িতেছে, এবং কি বেগেই বা ধাক্কাগুলি গাচের নিকট হইতে সঞ্চারিত হইয় দর্শনেক্রিয়ে লুসিয়া পৌঁছতেছে, ত ও গণিয় দেয় | পদার্থবিজ্ঞান যে যুক্তির বলে এই আকাশের অস্তিত্ব আবিষ্কার করিয়াছে এবং এই ঢেউগুলির আকারপ্রকার সম্বন্ধে বিবিধ গণনা সম্পাদনে সমর্থ হইয়াছে, এ প্রস্তাবে তাহার অবতারণা চলিতে পারে না। তবে এই পৰ্য্যন্ত বলিতে পারি, যে তুমি মাপকাঠি দিয়া গাছটার দৈর্ঘ্য মাপিয়া আমাকে বলিলে সেই মাপে আমার যতটা আস্থা জন্মিবে, আকাশের ঢেউগুলির দৈর্ঘ্যসম্বন্ধে ও তাহার সংখ্যাসম্বন্ধে বিজ্ঞানবিং