বর্ণ-রহস্য 업인 গুলির এক একটির সহিত একএকটি নির্দিষ্টদৈর্ঘ্যযুক্ত আকাশের ঢেউয়ের সম্বন্ধ রহিয়াছে ;—যখন সেই সেই ঢেউ এক আসিয়া ধাক্কা দেয়, তখন সেই সেই বিশুদ্ধ বর্ণ অনুভূত হয়। আর অবিশুদ্ধ বর্ণগুলা, যখন পাচ রকমের ঢেউ একযোগে আসিয়া ধাক্কা দেয়, তখনই অনুভূত হয় । - আকাশের ছোট বড় ঢেউগুলি একাএক আসিয়া বিশুদ্ধ বর্ণের জ্ঞান জন্মায় ; কোন ঢেউ লোহিত, কোনটা পীত, কোনটা নীলের জ্ঞান জন্মায় ; আর ছোট বড় ঢেউ মিলিয়া একত্র আসিলে অবিশুদ্ধ পাটল পিঙ্গলাদির জ্ঞান দেয়। এ পর্য্যন্ত ঠিক। কিন্তু আর একটু স্বল্প কথা আছে । পীত বর্ণ স্বর্যালোকে আছে, উহা বিশুদ্ধ বর্ণ ; নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যযুক্ত ঢেউএ ঐ পীতবর্ণের জ্ঞান জন্মায়। কিন্তু সেই পীতবর্ণের জ্ঞান আবার অন্তরূপেও জন্মিতে পারে। লালের ঢেউ ও সবুজের ঢেউ যদি একসঙ্গে একযোগে ধাক্কা দেয়, তাহাতেও পীত বর্ণের জ্ঞান জন্মে । এখানে সেই পীতকে বিশুদ্ধ বলিব, কি অবিশুদ্ধ বলিব ? পীতের ঢেউ একা আসিয়া যে জ্ঞান জন্মায় ; লালের ঢেউ ও সবুজের ঢেউ একত্র আসিয়া ০ ঠিকৃ সেই জ্ঞান জন্মায় ; কাজেই কোন আলো পীত বর্ণের বোধ হইলে তাহ খাটি পীত না হইতে ০ পারে ; উহা লাল আলো ও সবুজ আলো মিশিয়া উৎপন্ন হইতে পারে। কাচের কলম দিয়া বিশ্লেষণ না করিলে ঠিক্ বলা যাইবে না, উহা খাটি পীত কি ঝুটা পীত । এক রকমেরই জ্ঞান, কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন হেতু। এক রকমের ঢেউ ধাক্কা দিয়া যে জ্ঞান জন্মায় ; পাচ রকমের ঢেউ একসঙ্গে ধাক্কা দিয়াও ঠিকৃ সেই জ্ঞান জন্মাইতে পারে । ফলে বিশুদ্ধ বর্ণের সংখ্যা অগণা, কিন্তু বিশুদ্ধ মূল বর্ণজ্ঞানের সংখ্যা তিনটি মাত্র। মৌলিক বর্ণজ্ঞান কেবল তিনটি ;–রক্ত,হরিৎ ও নীল ;– নির্দিষ্ট রক্ত, নির্দিষ্ট হরিৎ, নির্দিষ্ট নীল। মৌলিক জ্ঞান তিনরকম ;
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।