পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্ণ-রহস্য ግ፭» মৌলিক নীলের বোধ জন্মায় । কেহ বা লোহিত ও হরিৎ উভয় উৎপাদন করিয়া উভয় মিশাইয়া পীতবুদ্ধি জন্মায় ; ইত্যাদি । এবং সকলে আসিয়া একত্রে চোখে ধাক্কা দিয়া লোহিত, হরিৎ ও নীল তিন মিশাইয়া শাদার উৎপাদন করে । এই তিন মূল বর্ণ তাহদের নির্দিষ্ট ভাগ অনুসারে একত্র করিলে শাদা হয় । একটার ভাগ কিছু কম হইলেই আলো রঙিল হইয়া যায়। কাজেই শাদ আলোতে যে সকল ঢেউ বৰ্ত্তমান, সেই ঢেউগুলার মধ্যে কোন কোনটাকে বাছিয়া লইলেই রঙিল আলো হয় ; বা কোন কোনটা কোনরূপে সরাইয়া ফেলিলে ও রঙিল আলো পাওয়া যায়। কাজেই রঙিল আলো তৈয়ার করিতে চাও ত, স্থৰ্য্যালোকের অন্তর্গত বিবিধ ঢেউয়ের মধ্যে কতকগুলিকে বাছিয়া ল ও ; অথবা কতকগুলিকে কোনরূপে সরাইয়। ফেল। আলোর শুভ্রত্ব বজায় রাখিবার জন্ত তিনটা মূল বর্ণের যে যে ভাগ প্রয়োজন, তাহার একটা ভাগ কম পড়িয়া যাইবে, আলোকও রঙিল হষ্টয় পড়িবে। ” এই বাছিয়া লওয়া বা নিৰ্ব্বাচন কার্য্য ও সরাইয়া ফেলা বা অপসারণ কার্য্য কয়েকটি উপায়ে সম্পাদিত হয় । নিম্নে তাহার উল্লেখ করা যাইতেছে । 骇 প্রথম উপায়। স্বর্য্যের আলো বায়ুর মধ্য হইতে জল বা তেল বা কাচের মত কোন ঘন সংহত श्रह পদার্থের ভিতর গেলে তাহার রাস্ত ঘুরিয়া যায়। কেন যায় সে স্বতন্ত্র কথা। কিন্তু সকল ঢেউ আবার সমান ঘুরিয়া যায় না । লোহিতজনক চেউ যত ঘুরে, পীতজনক তার চেয়ে বেশী ঘুরে, হরিৎজনক তার চেয়ে বেশী, নীলজনক আরও বেশী ; এইরূপ । কাজেই শাদ আলোর অন্তর্গত ঢেউগুলি এইরূপ সংহত স্বচ্ছ পদার্থে প্রবেশ করিয়াই পরম্পর ছাড়াছাড়ি হইয়। ভিন্ন ভিন্ন রাস্তায় চলিতে