বর্ণ-রহস্য b"> আকাশের ঢেউ সেই থানে থামিয়া যায় ও নষ্ট হয়। অণুগুলি ঐরাপ কঁাপিতে থাকিলে আমরা বলি তাপের উৎপত্তি হইল, জিনিষট। গরম হইল, আলোক নষ্ট হইয়া তাপের উৎপাদন করিল । এই ঢেউগুলার অদৃষ্ট খারাপ ; ইহার অণুর সহিত লড়াই করিতে গিয়া নিজেরাই নষ্ট হয় ও বস্তুতই পথে মারা যায়। জড় দ্রব্যের অণুগুলি এইরূপে আকাশের ঢেউগুলিকে নষ্ট করিয়া নিজে কঁাপিতে লাগে ; ঢেউগুলিকে আহার করে ও নিজে, পুষ্ট হয় ; এই ব্যাপারকে আমরা আলোকের শোষণ বলিব । সুার ঢেউগুলির জড় পদার্থের গায়ে প্রতিহত হইয়া প্রত্যাবর্তন ব্যাপারকে পরাবৰ্ত্তন বলিব । এই খানে একটু রহস্ত আছে। কোন কোন দ্রব্য স্বৰ্য্যালোকের অন্তর্গত সকল ঢেউকেই ফিরাইয়া দেয় বা পরাবর্তিত করে ; যেমন পালিশ-কর রূপা, অথবা পারা-মাখান আরশী। শাদা কাগজ, শাদা কাপড়, শাদ খড়ী, শাদা দুধ প্রভৃতি সমস্ত শাদা জিনিষই বাছ বিচার না করিয়া সকল ঢেউকেই ফিরাইয়া দেয় ; এবং সকলকেই এইরূপে ফিরায় বলিয়াই তাহার শাদ । আবার কাল কালী, কাল কাপড়, কাল কাগজ, কাল কয়লা প্রভৃতি দ্রব্য প্রায় সকল ঢেউকেই বাছাই না করিয়া অপক্ষপাতে শোষণ করিয়া লয় ; এবং এইরূপে শুষিয়া লয় বলিয়াই তাহারা কাল । আবার জল বায়ু কাচের মত স্বচ্ছ পদার্থ কোন ঢেউকেই প্রায় ফিরায় না ; শোষণেও বড় পক্ষপাত দেখায় না ; প্রায় সকলকেই রাস্ত ছাড়িয়া দেয় ; তাহার এই জন্যই স্বচ্ছ ও বর্ণহীন । কিন্তু এতদ্ব্যতীত রঙিল জল, রঙিল কাচ, রঙিল কাগজ, রঙিল কাপড়, ইহাদের বর্ণ রঙিল এই জন্ত, যে চহারা পক্ষপাতপরায়ণ ; সকল ঢেউয়ের উপর ইহাদের সমান বিচার নাই ; ফিরাইবার সময় কোন কোন ঢেউকে বাছাই করিয়া ফিরাইয়া দেয় ; শোষণের সময় কোন কোন ঢেউকে বাছিয়া শুষিয়া লয় ; সকলের প্রতি সমান বিচার করে না। ফলে কোন কোন ঢেউ আটক ।
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৯০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।