পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

નાર জিজ্ঞাসা পড়িয়া শোষিত হয় ; আলার কেহ বা ফিরিয়া আসে ; কেহ বা রাস্ত ভেদ করিয়া নিৰ্ব্বিঘ্নে চলিয়া যায়। এত নিৰ্ব্বাচনের ফলে শুভ্র আলো আমরা পাই না। যে আলো ফিরিয়া আসে বা রাস্ত ভেদ করিয়া চলিতে পায়, সে আলো রঙিল দেখায় । এই নিৰ্ব্বাচন ক্রিয়া প্রাকৃতিক বর্ণবিকাশের একটা প্রধান কারণ। তৃতীয় উপায়। এই তৃতীয় উপায় বুঝিবার পূৰ্ব্বে ঢেউ-তত্ত্বের আর একটু আলোচনা আবখ্যক । ঢেউ, উৰ্ম্মি, তরঙ্গ, হিল্লোল, যাহাষ্ট বল, এই সকলের একটু অপরূপত্ব আছে । জলের ঢেউ মনে কর । জলাশয়ের পিঠে তরঙ্গের পর তরঙ্গ চলে দেখা যায় ; কোন দ্রব্য যদি সে সময়ে জলে ভাসে, সে দ্রব্য সেই তরঙ্গের লীলাতে একবার উঠে, একবার নামে । এই উঠা-নাম তরঙ্গমালেরই একটা বিশেষ ধৰ্ম্ম । তরঙ্গের পর তরঙ্গ যখন চলয় যায়, তখন দেখা যাইবে, জল একবার উঠিতেছে, একবার নামিতেছে । তরঙ্গের পর তরঙ্গের সারি চলিয়াছে ; তাহার উপর দৃষ্টপাত করিলে দেখা যাইবে, উচু, নীচু উচু, নীচু, উচু, নীচু এইরূপ ক্রমান্বয়ে পর পর উৰ্ম্মিগুলি চলিয়াছে। একটা গোটা উৰ্ম্মির অৰ্দ্ধেক ভাগ উঁচু, সেই ভাগকে আমরা উন্মির মাথা বলিব ; আর অৰ্দ্ধেক ভাগ নীচু, সেই ভাগকে পেট বালব। মাথা আর পেট এই শব্দ দুইটা সভ্যসমাজের অনুমোদিত হইবে না ; কিন্তু এক্ষ পরিভাষাসঙ্কলনশ্রমের অবকাশ নাই । তরঙ্গের এক ভাগ মাথা, এক ভাগ পেট । এখন মনে কর, দুইটা স্থান হইতে তরঙ্গশ্রেণী জন্মিয়া চলিতেছে। পুকুরের জলে একটি টিল ছুড়লে সেখান হইতে এক সারি তরঙ্গ জন্মিয়া চারি দিকে চড়াইয়া পড়ে ; আবার আর এক জায়গায় নিক্ষেপ করিলে সেখান হইতে ও আর এক সার তরঙ্গ উৎপন্ন হইয়া চারিদিকে বিস্তৃত হয়। এইরূপ দুইট। স্থান হষ্টতে সারি সারি ঢেউ আসিতে থাকিলে এমন হয়, এ সারির ঢেউয়ের উপর ও সারি আসিয়া পড়ে। ইহার